কৃষি আইন (farm laws) বাতিলের দাবিতে কৃষকরা যে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন তাকে কালিমালিপ্ত করতেই প্রজাতন্ত্র দিবসে কেন্দ্রের মদতে হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে আগামিকাল সংসদে (parliament) রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (president ramnath kovind) ভাষণ বয়কট (boycott) করতে চলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ দেশের ১৬ টি বিরোধী দল (opposition parties)। বাজেট অধিবেশনের (budget session) শুরুতে এই প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বর তীব্র করতে চাইছেন সংসদের বিরোধী নেতারা।

বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ১৬ টি বিরোধী দল যৌথভাবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে প্রতিবাদ জানাবে। আমাদের সকলেরই দাবি, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে যে বেনজির হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। বিজেপির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের যোগসাজশ উঠে আসছে। কারা এই তাণ্ডব চালিয়ে কৃষক আন্দোলনকে বদনাম করতে চাইল এবং তাতে কাদের উদ্দেশ্য পূরণ হল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই। লালকেল্লা কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি ঘটনার সময় দিল্লি পুলিশের নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েও স্বচ্ছ তদন্ত চেয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস আগেই লালকেল্লার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছে। এবার ১৬ টি বিরোধী দল মিলে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল। বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, মোদি সরকার বিরোধীদের বক্তব্য ও পরামর্শ না শুনেই সংখ্যার জোরে একতরফা এই কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। এখন এই অচলাবস্থার জন্য বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবই দায়ী। প্রসঙ্গত, আগামিকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়েই শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। অাগামি ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ।
আরও পড়ুন:জননাঙ্গ প্রদর্শন যৌন হেনস্থা নয়: বোম্বে হাইকোর্ট
