করোনাকালে পেশ করা বাজেটে সারাদেশে নজর ছিল ভ্যাকসিন নিয়ে কী বলছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট বক্তৃতায় জানালেন, কোভিডের টিকার জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে ১৩৭ শতাংশ খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মোট ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে সরকার।
চিকিৎসা খাতে ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ছবছরে এটা খরচা হবে। এই টাকা দিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা হবে। এর ফলে গ্রামের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে এবং ৬০২ টি জেলা উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
জোর দেওয়া হচ্ছে নাগরিক স্বাস্থ্যের উপরেও। দেশের কুড়িটি বড় শহরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নজর রাখার জন্য নতুন ১৭ টি পাবলিক হেলথ ইউনিট কাজ শুরু করবে। ১৫ টি এমার্জেন্সি ইউনিট তৈরি হবে।
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বাজেটে পুষ্টি প্রকল্প জোর দেওয়া হয়েছে। পুষ্টি প্রকল্পগুলিকে একসঙ্গে করে ১১২ টি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার পরিষ্কার জল এবং পরিশুদ্ধ আবহাওয়ার কথা বলেছে। সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। ২.৮৬ কোটি মানুষকে কলের জল দিতে ২ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ব্যবহার এবং অন্যান্য যা পরিমণ্ডলকে দূষিত করছে তার উপরেও নিষেধাজ্ঞা বজায় বহাল থাকবে।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানে বরাদ্দ করছি এক লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা।
২০০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হচ্ছে আমাদের পরিমণ্ডলকে শুদ্ধ করার জন্য।
একই সঙ্গে পুরনো যানগুলি যাতে পরিবেশ দূষিত না করতে পারে তার জন্য দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
কুড়ি বছরের বেশি পুরনো ব্যক্তিগত যান বাতিল করে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য সঙ্গে সঙ্গেই বাজেটে আমজনতার নজর থাকে শিক্ষায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, লাদাখে উচ্চশিক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র। সবাই যাতে সেখানে উচ্চশিক্ষা পায় তার জন্য বেশি বিনিয়োগ করা হবে। সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর পাশাপাশি তপশিলিদের মন জয়ে পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ বাড়ানো হয়েছে। এরফলে ৪ কোটি পড়ুয়া উপকৃত হবে।
তপশিলি এলাকায় ৭৫৮টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপন হবে।
উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন কমিশন গঠিত হবে, যার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ- সবই থাকবে।
১৫ হাজার স্কুলে নতুন শিক্ষানীতি চালু দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-বেসরকারিকরণের জোর দিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাতে মরিয়া নির্মলা