“আমি বেইমান নই, তাই তৃণমূলে”, ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে বললেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে

একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের ( Assembly Election) আগে সংগঠনে একের পর এক চমক দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। প্রধান বিরোধী বিজেপি (BJP) যখন শাসকের দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছে, ঠিক তখনই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের দলে টেনে বিশেষ বার্তা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এবারের নির্বাচনে একটু অন্যরকম। গেরুয়া শিবির যেনতেন প্রকারেণ রাজ্যের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মত্ত হয়েছে, তখন বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষার ধর্মযুদ্ধে নামছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Mamata Banerjee)।

আজ, শুক্রবার তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) হাত ধরে এবং টলিউডের (Tollywood) অন্যতম শীর্ষ অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহমের (Sohoj Chakraborty) উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey), ভরত কল (Bharat Kol), টেলি অভিনেত্রী লাভলি মৈত্র (Laglo Maytro), উস্তাদ রশিদ খানের কন্যা সঙ্গীতশিল্পী শাওনা খান (Shaowna Khan)।

তৃণমূলে যোগদানের পর অভিনেতা দীপঙ্কর দে দীপ্ত কণ্ঠে বলেন, “আমি বহুদিন ধরেই তৃণমূলের সপক্ষে রয়েছি। তৃণমূলের সমর্থক, তবে শারীরিক কারণে সবজায়গায় যেতে পারিনা। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা, দায়বদ্ধতা থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বেইমানি করতে পারব না।”

কিন্তু ভোটের আগেই কেন আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান? দীপঙ্কর দে’র কথায়, “বাম আমলে বাংলা চলচ্চিত্র বা অভিনেতা, অভিনেত্রীদের খোঁজ পর্যন্ত কেউ নেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার পর থেকে ইন্ডাস্ট্রির অনেক উন্নতি করেছেন। টেকনিশিয়ান স্টুডিওর খোলনলচে পাল্টে দিয়েছেন। আমাকে ও আমার মতো অনেককে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণের মত সম্মানে সম্মানিত করেছিলেন। এটা আমার জীবনে বড় বিষয়। আমি যখন পরপর দুবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলাম, উনি খবর নিয়েছেন। আমার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করেছে। তাই বেইমানি করতে পারব না। আমি তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব।”

রুদ্রনীল ঘোষ-সহ সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বিজেপি’তে যোগদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে দীপঙ্ক দে বলেন, ”কার কোথায় গিয়ে পাঁপড় ভাজতে ইচ্ছা করে সেটা আমার দায়িত্ব নয়।” টলিপাড়ায় দলবদল এবং শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দীপঙ্কর দে বলেন, ”টলিপাড়া বিভক্ত হয়েছে সেবিষয়ে সন্দেহ নেই। বাস্তব অস্বীকার করা যায় না। তবে তার কি কোনও ফল হবে? বাংলায় বলছি, তৃণমূল জিতছে। এবং ২০০ আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

দীপঙ্কর দে’র সুরেই ভরত কল, লাভলি মৈত্ররাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:পার্শ্ব শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

Advt

Previous articleপার্শ্ব শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
Next articleনন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে, জানালেন সাংসদ কল্যাণ