১৯৮৪-তে জ্যোতি বসুর পর ২০২১-এ বাজেট পড়বেন মমতা, অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল

১৯৮৪-র পর ২০২১ ৷ জ্যোতি বসুর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ৩৬ বছর আগে বিধানসভায় সেই বছরের বাজেট বক্তৃতা (WB Budget speech) পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (Jyoti Basu)৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, শুক্রবার সেই কাজই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) মুখ্যমন্ত্রীকে বাজেট বক্তৃতা করার অনুমোদনও দিয়েছেন৷
রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে বর্তমান সরকারের এটাই শেষ বাজেট।

সাধারণভাবে বাজেট পেশ করার দায়িত্ব অর্থমন্ত্রীর।রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ৷ চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়ির বাইরেও যাওয়া নিষেধ । তাই এ বারের রাজ্য বাজেট পেশ করতে তিনি পারছেন না৷ তাই শুক্রবার বেলা চারটে নাগাদ বিধানসভায় বাজেট ভাষন পড়বেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। বিধানসভা সূত্রে খবর, অধিবেশন বসার আগে
দুপুরে ‘বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটি’-র বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হতে পারে৷ সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিয়ে এ বছর বাজেট পড়া থেকে অব্যাহতি চান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা এবং উপদেশেই তিনি রাজ্যপালকে চিঠিটি লিখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বাজেট পাঠের অনুমতি দেওয়ার জন্য ওই চিঠিতেই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। আর বৃহস্পতিবার টুইট করে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে বাজেট বক্তৃতা করার অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে রাজ্যে তখন বামফ্রন্ট শাসন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। পার্টির সঙ্গে নানা ইস্যুতে মতভেদের কারনে হঠাৎ ইস্তফা দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র। ছেড়ে দেন বিধায়ক পদও। তখনই জরুরি ভিত্তিতে অর্থ দফতরের দায়িত্ব নেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাই সে বার বাজেটও পেশ করেন জ্যোতি বসুই। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ অনুমতি দিলে যে কোনও মন্ত্রীই বাজেট পেশ করতে পারেন। এতে আইনি কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিজেই বাজেট ভাষণ পড়বেন, এমন নজির রাজ্যে আজ দ্বিতীয়বার ঘটবে।

Previous articleআজ রাজ্য বাজেট পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী, জোর গ্রাম বাংলায়, থাকছে চমকও
Next articleবিয়ে বাড়িতে অতিথিদের হাতে আধার কার্ড! পুরোটা জানলে মজা পাবেন