“পশ্চিমবঙ্গে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী (CM) রিয়েছেন। তাই নারী সুরক্ষা ও নারী নিরাপত্তায় এ রাজ্য দেশের শীর্ষে। রাত দুটোর সময় কাজ সেরে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরা যায়। আমি গর্বিত, আমি বাংলার মেয়ে। এ রাজ্যে নারী মহিলাকে এক চোখে দেখা হয়। যেটা অন্য কোথাও দেখিনি।” বক্তা এই মুহূর্তে টলিপাড়ার সবচেয়ে চর্চিত নাম অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh)।

মঞ্চে যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর প্রশাসনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন সায়নী, তখন সেই মঞ্চেই হাজির রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। মদনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিনেত্রী। আর তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা এবার কি তাহলে তৃণমূলের পথে ”বামপন্থী” সায়নীও।
সায়নী আরও বলেন, কে কোখায় যাবেন, কার সঙ্গে থাকবেন, কী খাবেন, কী পড়বেন, সেটা একান্তই ব্যক্তি স্বাধীনতা। এটা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। কিন্তু সারা দেশে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে বাংলায় তা হবে না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। সায়নীর কথায়, “বাঙালি মেয়েদের বুদ্ধি, দক্ষতা রয়েছে। আমাদের রাজ্যে শহরে মহিলাদের জন্য নতুন নতুন পথ খুলছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের ভূমিকা রয়েছে। এটা বাংলা ছাড়া কোথাও দেখা যায় না। কে কি খাবে, কি পড়বে, কোথায় যাবে, সেই স্বাধীনতা এই রাজ্যে আছে।

সম্প্রতি “জয় শ্রীরাম” ও টুইট বিতর্কে সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে কেউ দেখাক। এবার সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে সেই কথাই বললেন মদন মিত্র। নাম না করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ” এখন থেকে আমি সায়নীর পাহারাদার। ওর দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে বাংলায় আগুন জ্বলবে।”

প্রসঙ্গত, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। যদিও এই টুইটের দায় অস্বীকার করে সায়নী বলেন তাঁর টুইট হ্যাক করা হয়েছিল। এরপরেই সায়নী ঘোষকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা হুমকি দেওয়া হয়।
