মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ দুই বিজেপি বিধায়কের! “ঘর ওয়াপসি”র জল্পনা তুঙ্গে

আজ, সোমবার ছিল ১৬তম বিধানসভার (Assembly) শেষ অধিবেশনের শেষদিন। যেখানে বাজেট নিয়ে জবাবী ভাষণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথা মেনে ফটো সেশনে বিধায়কদের (MLA) নিয়ে ছবিও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এর মাঝেই সকলের নজর চলে যায় তৃণমূল ত্যাগী দুই বিজেপি (BJP) বিধায়কের দিকে। এই দুই বিধায়কের আচরণ “ঘর ওয়াপসি”র জল্পনা উসকে দিয়েছে।

জবাবী ভাষণের পর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস (Biswajit Das) ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং (Sunil Singh)। সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢোকার পর তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বিশ্বজিৎ দাস। এরপর সুনীল সিংয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকতে দেখা যায় দু’জনকে। প্রায় আধ ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছিলেন বিশ্বজিৎ ও সুনীল। আর তাতেই উস্কে উঠেছে জল্পনা। তবে কি তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

উত্তর ২৪ পরগনার দুই তৃণমূলত্যাগী এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক তাঁর ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Joytipriyo Mallick) ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmick) ডেকে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢোকেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতৎ সেরে বেরিয়ে দলবদল নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং। বিশ্বজিৎ-এর বক্তব্য, তাঁর বিধানসভা এলাকায় অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেই উন্নয়নমূলক কাজ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে “দিদি” সম্বোধন বেশ ইঙ্গিতবহ। ফের দলবদল নিয়েও জল্পনা জিইয়ে রাখেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক।

যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) দলবদলের জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। সুনীল সিংয়ের দলে ফেরা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিতে পারেন বলে জল্পনা আরও উসকে দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়।

তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার পর ফের নতুন করে “ঘর ওয়াপসি”র ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। উত্তর ২৪ পরগনায় এর আগেও সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পর আবার তৃণমূলে ফেরত আসার ঘটনা রয়েছে। ঠিক সেইভাবেই এই ওই জেলার দুই বিধায়কের তৃণমূলে ফেরাও হয়তো শুধু সময়ের অপেক্ষা, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advt

Previous articleউত্তরাখণ্ডের তুষারধস : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮, নিখোঁজ ২০০
Next articleউত্তরপ্রদেশের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন, কী বলল শীর্ষ আদালত?