কোন্নগরে শাসকদলের কর্মিসভায় কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
সাংসদের সাফ কথা, কানাইপুরের শুধু আচ্ছেলাল জিতবেন আর বিধায়ক-সাংসদরা হারবেন তা চলবে না।। তিনি বলেন, ‘লোকসভা ভোটে আমি সেখানে হেরেছি, বিধানসভা ভোটে আমাকে চার হাজার ভোটে জেতাতে হবে।’ আচ্ছেলাল তখন জানিয়ে দেন, আজকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান।’
আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ড তুষারধস: রুদ্ধশ্বাস উদ্ধারকার্যে বাঁচল ১৬ প্রাণ, এখনও নিখোঁজ ১৭০
অনুষ্ঠান শেষে কল্যাণ বলেন, ‘কারও কাছে মাথা নত করব না।’ অন্যদিকে আচ্ছেলালের বক্তব্য, উনি কড়া ভাষায় কথা বললে আমি ফুলের মালা পরাব না।
বেশ কিছুক্ষণ এই পারস্পরিক দোষারোপের পালা চলে। এরপরই কর্মিসভা থেকে বেরিয়ে যান পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, হুগলি জেলায় তৃণমূলকে শেষ করার দেওয়ার চক্রান্ত করছেন সাংসদ।
এদিন কোন্নগরের রবীন্দ্রভবনে এই কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল (TMC)। মঞ্চে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee), তৃণমূলের হুগলির সভাপতি দিলীপ যাদব-সহ জেলার নেতা-নেত্রীরা। আর নিচে দর্শকাসনে বসেছিলেন কানাইপুর পঞ্চায়েতে প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। ওই সভায় সাংসদ বক্তব্য রাখার সময়েই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বসেন কানাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান কে। যার নিট ফল, বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে।