পথ দেখাল কেরল, ক্যাথলিকদের দেহ সৎকার করতে তৈরি হল খ্রিস্টানদের শ্মশান !

সময়ের সঙ্গে চিন্তাধারাতেও পরিবর্তন আসে। আর সেই পরিবর্তনের সাক্ষী থাকল ত্রিশূর।রাজ্যের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সম্মতি নিয়ে কেরলের ত্রিশূরে তৈরি হল দেশের প্রথম খ্রিষ্টানদের শ্মশান। ফলে এখন
মৃত্যুর পরে প্রিয়জনের দেহ আর কবরস্থ করা হবে না, বরং তাঁর সেই দেহ  সৎকার করা হবে শ্মশানে। সেখানে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে গ্যাসের চুল্লি।
চিন্তাভাবনার সূত্রপাত
করোনার সংক্রমণ থেকে । স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে বেশি পরিমাণে করোনা সংক্রামিত রাজ্য হল কেরল। গত সপ্তাহেও করোনা আক্রান্তের তালিকায় কেরলের স্থান ছিল দ্বিতীয়। এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ফলে সংক্রমণের আঁচ থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত ।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ক্যাথলিকরা তাঁদে পরিজন মারা গেলে বাড়ির সবচেয়ে কাছে দেহ কবরস্থ করেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় জায়গা নিয়ে । কমিউনিটির সদস্যসংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় কবরস্থানে জায়গার অভাব হচ্ছিল।
যদিও ক্যাথলিক আইন অনুযায়ী, ১৯৬৩ সালে ভ্যাটিক্যান সৎকার প্রথার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে সৎকার বৈধ। তবে পুরোটাই নির্ভর করে চার্চের বিশপদের ওপর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মৃতদেহ সৎকার অত্যন্ত জরুরী । কবরস্থ মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।এরপরই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস কেরল জুড়ে ।

Previous articleভয়ে মুখ বন্ধ রাজ্যবাসীর: রাজ্যপাল, ভয় দেখাচ্ছেন ধনকড়ই: কল্যাণ
Next article‘পচা আম দলে নিতে এত উৎসাহ কেন তৃণমূলের?’ জল্পনার জবাব সুনীল সিংয়ের