শারীরিক কারণে প্রার্থী হবেন না, চিঠি লিখে দলনেত্রীকে জানালেন বর্ধমানের রবিরঞ্জন

বর্ধমানে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনকে তিনি হারিয়েছিলেন পরিবর্তনের ভোটে৷ একুশের নির্বাচনে আর প্রার্থী হতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী৷

২০১১ সালে বর্ধমান- দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (Rabiranjan Chatterjee) ৷ হেলায় পরাজিত করেছিলেন ডাকসাইটে নিরুপম সেনকে (Nirupam Sen)৷

এবার তিনি আর ভোটে লড়তে চান না৷ সেকথা রবিরঞ্জনবাবু তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছেন। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বুধবার সকালে টুইট করে তাঁর এই না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণাও করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার ‘মাটি উৎসব’-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে দেখাও যায়নি প্রাক্তন এই ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে৷ এদিনের টুইটে রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন,
“আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রীকে এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীকে ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি।” টুইটের সঙ্গে দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিও যুক্ত করেছেন তিনি৷ গত ৩০ জানুয়ারি রবিবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি দিয়েছেন৷ ২০১১ সালের প্রথম মমতা সরকারে রবিরঞ্জনবাবু কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন৷ তবে ২০১৬-র মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান হয়নি। এখন তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রয়েছেন।

বর্ধমান শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইদানিং তৃণমূল নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ দলের দু’গোষ্ঠীর কর্মসূচি আর পাল্টা কর্মসূচিতে বিভ্রান্ত কর্মী-সমর্থকরা৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবাবু আর ভোটে লড়তে ইচ্ছুক নন৷ তাছাড়া তাঁর বয়সও হয়েছে৷ সব মিলিয়েই রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনে আর না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা৷

আরও পড়ুন-আব্বাসের সঙ্গে কং-বাম সমঝোতা প্রায় বিশ বাঁও জলে

Advt

Previous articleভয়ে এ রাজ্যে কেউ মুখ খুলতে পারেন না : রাজ্যপাল
Next articleঅস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে স্ট্রেট সেটে জয় নাদালের