করোনার কঠিন সময়েও অর্থনৈতিক সংস্কার করে চলেছি বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বুধবার তিনি বলেছেন, ভারতের অর্থব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে একাধিক সংস্কার করেছি। তার ফলে, ট্যাক্টর, গাড়ির রেকর্ড বিক্রি হচ্ছে। রেকর্ড জিএসটি জমা হয়েছে।
তার দাবি, দুনিয়ার বহু দেশ পাউন্ড ও ডলার থাকা সত্ত্বেও সুযোগসুবিধা নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এই ভারতে করোনাকালে ৭৫ কোটির বেশি ভারতীয়র কাছে ৮ মাস ধরে রেশন পৌঁছে দিয়েছি। জনধন, আধারের ও মোবাইল মাধ্যমে ২ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছে। করোনাকালে অসাধারণ শৃঙ্খলা দেখিয়েছেন ভারতবাসী। করোনা মোকাবিলায় আমাদের কৃতিত্ব প্রচার করতে হবে। করোনা ঠেকাতে ডাক্তার, নার্সরা ঈশ্বরের রূপ ধরে লড়াই করেছেন । ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে তাঁরা ঘরে যাননি। সাফাইকর্মীরা সাফসুতরো রেখেছেন। তাঁরাই ঈশ্বরের রূপ। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ভগবানের রূপ। ভগবান আলাদা আলাদা রূপে এসেছেন। নিরাশা যাঁদের এসেছে, তাঁরা ১৩০ কোটি ভারতবাসীর পরাক্রমের কথা স্মরণ করুন, উজ্জীবিত হবেন।
করোনার পর নতুন বিশ্ব তৈরি হতে চলেছে। কীভাবে হবে তা সময় বলবে। ভারত বিশ্ব থেকে আলাদা হতে পারে না। আমাদের শক্তিশালী খেলোয়াড় হতে হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমরা শক্তিশালী হতে পারব না। নতুন বিশ্বে ভারতকে জায়গা পেতে সক্ষম ও আত্মনির্ভর হতে হবে। ভারত যত আত্মনির্ভর ও সামর্থ্যবান হবে তত বিশ্বকল্যাণে বড় ভূমিকা নিতে পারবে ভারত। ভারতকে আত্মনির্ভর করতেই আমাদের সকলের চিন্তাভাবনা ও পদক্ষেপ।
