বিধানসভা ভোটের (Election) মুখে কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কমিশনারেট ও গ্রামীণ এলাকার মোট তিন পুলিশ কর্মীর (Police) বদলি নিয়ে জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে চাপা আলোড়ন। সোমবার রাতে বদলির নির্দেশ জারি হতেই নড়েচড়ে বসেন পুলিশকর্মীরা। চলতি মাসের শুরুতে উত্তরপাড়া (Uttarpara) থানার আইসি হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন অরুপ কুমার রায়। তাঁকে পুরুলিয়ার (Purulia) ডিআইবিতে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলে উত্তরপাড়া থানার আইসি’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানস মাইতিকে। তিনি রাজ্য পুলিশের ভিজিলেন্স দফতরের অফিসার।

বদলি করা হয়েছে রিষড়া থানার আইসি দীপঙ্কর দাসকেও। তাঁকে আসানসোল দুর্গাপুর (Durgapur) কমিশনারেটের অধীনে রানিগঞ্জের সার্কেল ইনসপেক্টরের পদে বহাল করা হয়েছে। হুগলি গ্রামীণের সার্কেল ইনসপেক্টর বরুণকুমার ঘোষকে বাঁকুড়ার ডিআইবিতে বদলি করা হয়েছে বরুণের বদলে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট থেকে নন্দন মন্ডলকে তারকেশ্বরের সার্কেল ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপাড়া থেকে চাঁপদানী পর্যন্ত বিজেপির যুব মোর্চার বাইক মিছিল হয়েছিল। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও প্রবীর ঘোষালেরা। বিজেপির কর্মসূচিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পরের দিন ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরপাড়া কলেজ মোড় থেকে ধারসা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষ করে কল্যাণ অভিযোগ করেন, এক শ্রেণীর পুলিশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে।ওই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।

এরপরেই পুলিশকর্মীদের বদলির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন শ্রীরামপুর বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু। যদিও চন্দনগরের (Chandannagar)পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা গোটা বিষয়কে রুটিন বদলি বলে জানিয়েছেন।