Friday, December 26, 2025

স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিনে অনীহা কেন? জবাব চাইল কেন্দ্র

Date:

Share post:

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের ( coronavirus vaccination) প্রথম ডোজ না নিলে সরকারি সুবিধায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আর ভ্যাকসিন নাও দেওয়া হতে পারে । রাজ্যের অন্তত ২ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে (health worker)এমন বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যভবন। পশ্চিমবঙ্গ নয় বিহার- ঝাড়খন্ড মুম্বাইতেও এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি দেশের সব রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সেখানে তিনি এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। একই বক্তব্য নীতি আয়োগ কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির প্রধানেরও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের জন্য এক মাস বরাদ্দ করা হয়েছিল। আশা ছিল, এই সময়কালের মধ্যে দেশের ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। তারপর ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মুম্বই-সহ বেশ কিছু রাজ্যে টিকাকরণের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কোউইন অ্যাপ নিয়ে যেমন সমস্যা রয়েছে, তেমনই স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের মধ্যেও অনীহা দেখা দিচ্ছে। টিকা যতদিন আসেনি সেই সময় যতটা আগ্রহ ছিল, পড়ে তার বিপরীত অবস্থান।

 

কেন এই অনীহা স্বাস্থ্যমন্ত্রক সে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ঠিক করেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তত একটি ডোজ নিতেই হবে, অন্যথায় তাঁরা অগ্রাধিকারের সুযোগ পাবেন না। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর ইতিমধ্যে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। যথেষ্ট সংখ্যক কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড টিকা আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইতিমধ্যে ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্রুত টিকাকরণের আবেদন করেছেন। তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত ৫৮% স্বাস্থ্যকর্মী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। ওইদিন যাঁরা রাজ্যে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার তাঁরা দ্বিতীয় দফার টিকা পাবেন। তারপরই তাঁদের স্মার্টফোনে পৌঁছে যাবে ডিজিটাল সার্টিফিকেট। প্রয়োজনে হার্ড কপিও দেওয়া হতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফত র কর্মীদের টিকাকরনও শুরু হয়েছে।

Advt

 

spot_img

Related articles

জনসমুদ্র পার্ক স্ট্রিটে: বড়দিনের আলোয় শহর মাতোয়ারা, রাত বাড়তেই ভিড়ের ঢল

কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। জেলা থেকে শহর—সর্বত্রই উৎসবের আমেজ, তবে প্রতি বছরের...

স্পষ্টতা চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি ক্লাব জোটের, সূচি নিয়ে ক্ষোভ ইস্টবেঙ্গলের

সাফ ক্লাব কাপ জয়ী মহিলা দলের ফুটবলার, কোচ অ্যান্টনি আ্যন্ড্রিউজ এবং সাপোর্টিং স্টাফদের  সংবর্ধিত করল   ইস্টবেঙ্গল ক্লাব(East Bengal)...

বেঙ্গল সুপার লিগ: উত্তর ২৪ পরগনাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল ব্যারেটোর দল

জমজমাট  শ্রাচি আয়োজিত বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। বড়দিনের দুপুরেও ছিল লিগের ম্যাচ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে হাওড়া হুগলি ওয়ারিওর্সের(Howrah-Hooghly...

কেন্দ্রের প্রকল্পকে তোয়াক্কা নয়: বাংলা জুড়ে সবুজ বিল্পব

বাংলায় বিজেপির নেতারা যখন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় লাগু না করার জন্য প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন, তখন পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে...