বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের সকালের ঘন্টা দুয়েক জল মাপ ছিলেন ধর্মঘটীরা। কিন্তু যান চলাচল থেকে অফিস, কারখানা, স্কুল,দোকানপাট একেবারে স্বাভাবিক দেখে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বামেরা। এর পরই জোর করে হরতালের রাস্তায় হাঁটেন ধর্মঘটীরা।
সকাল সাড়ে আটটার পর যাদবপুরে রেল অবরোধ করা হয়।
ট্রেন অবরোধে সামিল বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বাম সমর্থক ধর্মঘটীরা। কার্যত আপ ও ডাউন ট্রেনের উপর উঠে পড়েন তাঁরা। এদিন সকালে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় সিপিএমের মিছিল। মিছিল এগিয়ে যায় স্টেশনের দিকে। কর্মী-সমর্থকরা ট্রেন স্টেশনে থামলে নেমে পড়ে লাইনে।
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার শাখার সংগ্রামপুরে ওভারহেড তারে কলা পাতা ফেলা হয়। আটাকনো হল হাসনাবাদ ট্রেন। পাণ্ডুয়া, কাঁচড়াপাড়া, ডোমজুর, অশোকনগরেও রেল অবরোধ শুরু করলেন ধর্মঘটীরা। তবে এইসব স্টেশনেই ধর্মঘটীদের সঙ্গে কথা বলছেন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। এই রেল অবরোধের জেরে স্টেশনে-স্টেশনে আটকে পড়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। কাজের দিনে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন:আজ রাজ্য সরকারি কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক, খুলে গেল স্কুল
আবার বনধ পালন করতে কোথাও রাস্তায় ক্যারাম বোর্ড পেতে আবার কোথাও রাস্তা বন্ধ করে ফুটবল খেলতে দেখা গেল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে রাস্তায় ক্যারাম খেলতে দেখা গেল ধর্মঘটীদের। এর জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ক্যানিং-বারুইপুর রোড। তেমনই হুগলির ধাড়সায় এবং হাওড়ার ডোমজুড় থানার সামনে হাওড়া-আমতা রোডে রাস্তা আটকে ফুটবল ম্যাচ খেলার চিত্রও চোখে পড়েছে।