তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উপর কেন্দ্রের নজরদারি! বাড়ির সামনে মোতায়েন বাহিনী

তৃণমূল সাংসদের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি ! এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল৷

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ( Mahua Maitra) বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হয়েছে বলে শনিবার নিজেই দাবি করেছেন সাংসদ। এক টুইটে এই অভিযোগ এনেছেন মহুয়া। মহুয়া মৈত্র দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর দাবি জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কাছে।

পরিকল্পনা করেই তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার! শনিবার এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ৷ এদিন টুইটারে মহুয়া লিখেছেন, “আমার বাসভবনের সামনে ৩ জন BSF জওয়ান অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা বারাখাম্বা রোড থানা থেকে এসেছেন আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। আমি একজন মুক্ত নাগরিক। জনতাই আমার রক্ষাকর্তা।” সাংসদ এই টুইটটি ট্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ( Amit Shah) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে৷ তাঁর নিরাপত্তা ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এত সাংসদ থাকতে হঠাৎ তৃণমূল সাংসদের বাসভবনের বাইরে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল? এর উত্তর এখনও কিছু জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে মহুয়ার অভিযোগ, “আমার ধারনা, নজরদারি করা হচ্ছে”৷ একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি কোনও নিরাপত্তার আবেদনই করেননি৷

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে সংসদে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ মহুয়া। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মহুয়া বলেছিলেন, “বিচার ব্যবস্থাও এখন ভয় পাচ্ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ভারতে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।” লোকসভার অধ্যক্ষ মহুয়ার কিছু মন্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেন। এখানেই শেষ নয়, মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জারির আবেদনও জানিয়েছেন কয়েকজন বিজেপি (BJP) সাংসদ।

সংসদে পর পর মহুয়ার জোরালো বক্তব্য এবং সাংসদের বাসভবনের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগ রয়েছে বলেই ধারনা করছে রাজনৈতিক মহল৷

*ছবি- মহুয়া মৈত্রের টুইটার থেকে*

আরও পড়ুন- ভোটের আগেই “জয় সিয়া রাম” বলিয়ে ছাড়বো! অমিত শাহের “জয় শ্রীরাম” জবাব অভিষেকের

Advt

Previous articleভোটের আগেই “জয় সিয়া রাম” বলিয়ে ছাড়বো! অমিত শাহের “জয় শ্রীরাম” জবাব অভিষেকের
Next articleজামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে যেতে মরিয়া হাবাস