তিলজলা অপহরণ কাণ্ড: বোনের বিয়ের জন্য জমানো টাকা তুলে দিতে হয়েছিল ‘মুক্তিপণ’ হিসেবে

বোনের বিয়ের জন্য তিন লক্ষ টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন মহম্মদ নাদিম। কিন্তু দুষ্কৃতীদের দৌলতে সেই টাকা দিতে হলো মুক্তিপণ হিসেবে। ভোরের কলকাতায় (kolkata) এরকমই হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা ২৯ বছর বয়সী যুবকের। আরও বিস্ময়কর, অভিযুক্ত ৪ দুষ্কৃতীদের মধ্যে তিনজনই তাঁর পরিচিত। ট্যাক্সিতে তুলে অপহরণ করার পর বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয় তাঁকে। দাবি করা হয় মুক্তিপণ, অন্যথায় প্রাণনাশ। একেবারে নিরুপায় হয়ে বোনের বিয়ের জন্য জমানো টাকা দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দেয় সে।

তিলজলা লেনের (Tiljala) বাসিন্দা ২৯ বছরের মহম্মদ নাদিম পেশায় একজন ওয়েব ডিজাইনার। শুক্রবার ভোরে সল্টলেক (Saltlake) থেকে বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও এক বন্ধু৷ অন্য বাইকে করে আসছিলেন তিনি। নাদিম জানিয়েছেন, পর পর ৩ বার তাঁর বাইককে চেপে দিচ্ছিল একটি হলুদ ট্যাক্সি। এরপর সায়েন্স সিটির (Science City) কাছে বোটিং ক্লাব এলাকায় তাঁকে ছুরি দেখিয়ে জোর করে তোলা হয় ট্যাক্সিটিতে। চালক সহ মোট ৪ জন ছিল গাড়িতে। যার মধ্যে ৩ জনই নাদিমের পরিচিত!

নাদিমের অভিযোগ, গাড়ির মধ্যে তাঁর উপর চালানো হয়েছে অত্যাচার। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে গাড়িতেই তাঁর কাছে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এই টাকায় খিদে মেটেনি তাদের। বরং দাবি করে বসে আরও আরও টাকা। বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এসে দিতে বলা হয় নাদিমকে। না হলেই প্রাণনাশের আশংকা। এই অবস্থায় বাড়িতে থাকা ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন নাদিম। বোনের বিয়ের জন্য এই টাকাটা জমিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

পুলিশকে যাতে কিছু না জানানো হয় সে ব্যাপারেও নাদিমকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও এরপর প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ নাদিম।  সোহেল আলি ওরফে আমন ও শেখ আনসার আলি ওরফে নিয়াজ নামে ২ যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

আরও পড়ুন: ভোটের ময়দানে স্লোগান নিয়ে কাড়াকাড়ি: ‘খেলা হবে’

Advt