উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ তপোবন সুড়ঙ্গে আটকা পড়াদের উদ্ধারের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গত রবিবার থেকেই অভিযান চালাচ্ছে। রবিবার ভোরে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুর্যোগ-বিধ্বস্ত স্থান থেকে মোট ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ১৬৪ জন নিখোঁজ। এই নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে তপোবন টানেলে আটকা পড়া লোকেরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বতি ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, ভোরের দিকে টানেলের ভিতরে থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এনডিআরএফসহ অন্যান্য বাহিনী, সীমান্ত পুলিশ যৌথভাবে টানেলটিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনার তথ্য দিতে নারাজ চিন!

এনটিপিসির ৫২০ মেগাওয়াট তাপোবন-বিষ্ণুগাড জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের এই সুরঙ্গটিতে বিপর্যয়ের সময় কাজ করছিলেন এমন ২৫-৩৫ জন আটকে রয়েছেন। রবিবার ভোররাতে পাওয়া দুটি মৃতদেহ ইতিমধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে। যার মধ্যে একটি তেহরি জেলার নরেন্দ্রনগরের আলম সিং এবং দেরাদুনের কলসির অনিল।

উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি চামোলি জেলার যোশীমঠের তপোবনে নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামে। অলকানন্দা নদীতে ঋষিগঙ্গা বাঁধ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকায় রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পও।
