কুণাল গ্রামে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুর্গার মুশকিল আসান, দেখুন কী ঘটল?

শুক্রবার পুরুলিয়ার ( purulia) রঘুনাথপুরে তৃণমূলের ( tmc) কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আচমকাই প্রত্যন্ত গ্রাম নপাড়ায় ঢুকে পড়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ( kunal ghosh)। মন্দিরের সামনে পল্লীর নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ঘরোয়া কথা বলেন তিনি। প্রশ্ন করেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্কিম নিয়ে। খোঁজ নেন এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক পরিষেবা নিয়ে। সকলেই ইতিবাচক বক্তব্য জানান।

তবে তার মধ্যে কুণাল যখন জিজ্ঞেস করেন বকেয়া কী কী আছে, তখন দুর্গা ঘটককে নিয়ে আসেন তরুণতরুণীরা। দুর্গা এবং আরেকজনের আবেদনে কাজ না হওয়ার কথা বলেন। কুণাল বলেন তাঁদের নাম লিখে দিতে।

আরও পড়ুন-২৪শেই ঘোষণা ভোটের নির্ঘন্ট? কমিশন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত

এরপর কুণাল প্রকাশ্য সভায় বলেন,” গ্রামে গেছিলাম। মানুষ কাজে খুশি। তবে দুএকটি আবেদনে কাজ বাকি। নেতৃত্বকে বলব ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের কাছে যান। পাশে থেকে কাজ করান। তাহলে মানুষ আরও খুশি হবেন। ঐ গ্রামে এটুকুই বা বাকি থাকবে কেন?”

এরপর শনিবার তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ হাজারি বাউড়ি নপাড়া গ্রামে যান। দুর্গা ঘটকের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি জানেন। সেখান থেকেই ফোনে হাজারিবাবু কুণাল ঘোষকে জানান আগামী সপ্তাহেই দুর্গার বকেয়া সরকারি সাহায্যের কাজ হয়ে যাবে। ফোনে দুর্গা কথা বলেন। কুণালকে আশীর্বাদ করেন।

কুণাল বলেছেন,” মমতাদি, অভিষেক এভাবেই কাজ করতে চান। প্রচুর কাজ হয়েছে। মানুষ খুশি। বাকি যেন কিছু না থাকে সেটা দলের কর্মীরা দেখুন। পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি যান। কারুর কোনো সমস্যা থাকলে সরকারের সঙ্গে সেতুবন্ধন করে দিন।”

এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দুটি ছবি দেওয়া হল। একটি: শুক্রবার কুণাল নপাড়া গ্রামে। অন্যদিকে: শনিবার দুর্গা ঘটকের বাড়ি তৃণমূলের হাজারি বাউড়ি।

Advt