মাঝে একটা কাঁটাতার… কিন্তু রক্তের রং লাল, ভাষাও এক। গণ্ডি পেরোলেই ওপার বাংলা। কিন্তু ‘প্রতিবাদ’ কোনও ভাষা হয়না। তা দেশ, কাল,পাত্রের গণ্ডিকেও ছাঁপিয়ে যায়। ‘ভাষা দিবস’-এর প্রাক্কালেও এর অন্যথা হল না। বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলনের সময় ভারত তথা গোটা বাংলা যেভাবে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল, ঠিক একইভাবে মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গেল বাংলাদেশের যুবসমাজকে। ওপার বাংলার আবেগ, তাঁদের প্রতিবাদী কন্ঠ আবারও এক করে দিল দুই বাংলাকে।

শাহবাগে স্লোগান উঠল, ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও।’ বাংলার ছাত্র–যুবদের আন্দোলনে এবার পাশে এসে দাঁড়াল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ঠিক এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল শাহবাগ আন্দোলনের সময়। ভারত তথা গোটা বাংলার প্রতিবাদ এতটাই তীব্র ছিল যে তা যুবসমাজকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছিল। উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারতবর্ষ। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল মানুষ। এবার তা আরও একবার প্রতিফলিত হল মইদুলের মৃত্যুকে ঘিরে।

গত ১১ই ফেব্রুয়ারি এসএফআই তাঁদের কিছু দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযান করেন। সেখানেই পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হন মইদুল। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেননি মইদুল। তাঁরই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও আন্দলনের ডাক দেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাকা মহানগর সংসদ। এরপর ১৯শে ফেব্রুয়ারি এই মিছিলে অংশ নেন তাঁরা। ভাষা দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের ছবি পোস্ট করে, যা কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
