নির্বাচন কমিশন পরাধীন, চালাচ্ছে বিজেপি’, তীব্র কটাক্ষ অধীর চৌধুরি

দেশের নির্বাচন কমিশন আদৌ স্বাধীন কি’না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি৷ তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের উপর কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব নির্ধারক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কমিশন চালাচ্ছে বিজেপি”৷

অধীর চৌধুরি (Adhir Choudhury)সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। যতদিন এই উদ্বোধন চলবে, ততদিন নির্বাচন ঘোষণা করার ক্ষমতা নেই কমিশনের। উদ্বোধন শেষ হলে, ভোট ঘোষণা হবে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর।”

 

সোমবার অসমের ধেমাজিতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “ভোট ঘোষণা হতে পারে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যে”। মোদির এই বার্তার প্রেক্ষিতেই অধীর চৌধুরির এই কড়া মন্তব্য ৷ অধীরবাবুর প্রশ্ন,”দেশে নির্বাচন কমিশন আছে৷ কিন্তু এখন একটি রাজনৈতিক পার্টির প্রধান কমিশনের কথা বলছেন। এর থেকে একটা বিষয়ই প্রমাণ হয়, নির্বাচন কমিশনের উপর কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব নির্ধারক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা কি আর আছে?”

 

বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে একুশের নির্বাচন দোরগড়ায়৷ বিজেপি এবার নিশানা করেছে বাংলাকে৷ তবে পাঁচ রাজ্যে কবে ভোট হবে সেই নির্ঘণ্ট কমিশন এখনও ঘোষণা না করলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ভোটের দিনক্ষণ জানাচ্ছেন তার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি৷

প্রসঙ্গত, সোমবার অসম সফরে গিয়ে মোদি বললেন, “২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশন ৪ মার্চ ভোটের দিন ঘোষণা করেছিল। আশা করি একইভাবে এবারও মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে।” খোদ প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, নির্বাচন কমিশনের কাজে ও ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। অধীর চৌধুরি

হুঁশিয়ারির সুরে দাবি করেছেন, কমিশন যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে।

 

ভোট ঘোষণা কবে হবে, তেমন ইঙ্গিত দিয়েই

থেমে থাকেননি মোদি৷ পাশাপাশি বলেছেন, ভোটের দিন ঘোষণার আগে পর্যন্ত ভোট হবে এমন রাজ্যগুলিতে তিনি বারবার যাবেন। সেই তালিকায় অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে। মোদি বলেছেন, “আমি ধরেই নিচ্ছি ৭ মার্চ নির্বাচন ঘোষণা হবে। আমার চেষ্টা থাকবে ভোট ঘোষণার আগে যত বেশিবার সম্ভব অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি যাওয়ার।”

প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন কথার পরই নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে উঠেছে৷

Advt

Previous articleকোকেন কাণ্ডে এবার রাকেশ সিংকে সমন, চরম অস্বস্তিতে বিজেপি! টিকিট নিয়েই দ্বন্দ্ব?
Next articleরাতারাতি গেরুয়া শিবিরের “গুড বুক”-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য! নিন্দায় TMCP