‘সৌজন্য’ দেখিয়ে ইমরান খানের বিমান প্রবেশের অনুমতি নয়াদিল্লির

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের প্রতি সৌজন্যের হাত বাড়াল ভারত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিমানকে ভারতীয় আকাশসীমায় ঢোকার অনুমতি দিল নয়াদিল্লি। সংবাদ সংস্থা এএনআই(ANI) সূত্রের খবর, দু’দিনের সফরে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পথে ইমরানকে ভারতীয় আকাশপথে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানকে নিজেদের দেশের আকাশপথে ঢুকতে অনুমতি বাঁধা দেয় পাকিস্তান। আর সেই থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা ইমরানের। তাঁদের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন তিনি। ইমরানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দল। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যাওয়ার পথ গিয়েছে ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে দিয়ে। তাই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে পথ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসলামাবাদ। ভারতের পক্ষ থেকে সৌজন্য দেখিয়ে ইসলামাবাদের এই আর্জিকে মেনে নিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, ভারতের অনুমতি না মিললে, একরকম বাধ্য হয়েই শ্রীলঙ্কার বিমানে করে সেদেশে যেতে হত ইমরানকে। যে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে এহেন ঘটনা রীতিমতো অস্বস্তিকর।

প্রসঙ্গত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের আমন্ত্রণে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু সফর শুরুর আগেই কূটনৈতিক মঞ্চে বড় ধাক্কা খেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কারণ আমন্ত্রণ করলেও পার্লামেন্টে ইমরানের ভাষণ বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা। পূর্ব নিধারিত সূচী অনুযায়ী, ২৪ শে ফেব্রুয়ারি দ্বীপরাষ্ট্রের সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা অভয়বর্ধন জানান, বিশেষ কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টে বক্তৃতা বাতিল করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণেই ইমরানের বক্তৃতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে  ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়াতেই এই ঘোষণা বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক মহলের ইঙ্গিত, রাজধানী কলম্বোয় সর্বদল বৈঠকের পর সংসদে বক্তৃতায় কাশ্মীর সমস্যার প্রসঙ্গ তুলতে পারেন ইমরান খান । আর তার আঁচ পেয়েই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকার। এই বক্তৃতা বাতিলের পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, ইমরানের বক্তৃতায় ভারত বিরোধী কোনও বক্তব্য থাকুক তা চায় না কলম্বো।

Advt

Previous articleফেরত আসেনি ফাইল: রাজভবনের অনুমোদন ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ
Next articleসুপ্রিম কোর্টে ফের পিছল রাজীব-মামলার শুনানি