বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার কাঁচরাপাড়া -আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট

বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া এবং শহর কলকাতার আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট।
বুধবার কলকাতার বুকে আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট পোস্ট অফিসের সামনে তৃণমূল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল। শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির মিছিলে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হল। এই মিছিল লেবুতলা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেও যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পতাকা ছোঁড়া, ব়্যাফের লাটিপেটা কিছুই বাকি থাকল না । আমহার্ট স্ট্রিটের, মারোয়াড়ি হাসপাতালের সামনে যেভাবে যুযধান দুই পক্ষ সামনা সামনি খণ্ডযুদ্ধে মাতলো তা অনভিপ্রেত।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ব্যাপক লাঠিচার্জ করতে হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হল। যথেচ্ছভাবে ছেঁড়া হল তৃণমূলের পতাকা, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স। দেখানো হয়েছে ঝাঁটা জুতোও। দুই দলের কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ।
ঠিক একইভাবে বিজেপির (BJP) পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কাঁচরাপাড়ার কাপামোড় এলাকা। রথযাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের দাবি কোনও অনুমতি ছিল না।
ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
বিজেপি-র রোড শো থেকে হয়েছে আক্রমণ দাবি তৃণমূলের। পাল্টা বিজেপি-র অভিযোগ ইঁট, জুতো উড়ে আসার পরই রুখে দাঁড়ান কর্মীরা। বিনা প্ররোচনায় চালানো হয়েছে আক্রমণ।
বুধবার দুপুরে বিজেপির নবদ্বীপ জোনের ‘পরিবর্তন যাত্রা’ যাচ্ছিল কাঁচরাপাড়া দিয়ে। শেষ হতো বারাকপুরে। অভিযোগ, রথযাত্রা আটকাতে কাপামোড় এলাকায় ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। এরপরই শুরু অশান্তি। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। সেইসময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে বাধা ভেঙে এগোনোর চেষ্টা চালিয়ে যান ক্ষুব্ধ কর্মীরা। পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-সহ দলের অন্যান্য নেতারা।
বিজেপির দাবি , তাদের ২২ জন কর্মী আহত। গুরুতর আহতদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
এর প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। কল্যাণী হাইওয়েতে বিজেপি কর্মীদের অবরোধের জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখানে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে তিনি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Previous articleরাকেশের গ্রেফতারির সমর্থনে বিস্ফোরক রূপা, ‘উনি কি মুখপাত্র?’ পাল্টা দিলীপ
Next articleনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা দিল লরি, মৃত্যু এক মহিলা-সহ ৪ জনের