একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই নারীশক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা পার্থক্য রয়েছে। কারণ, তিনি দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। এবার নির্বাচনেও মহিলা ভোটব্যাঙ্ক মাথায় রেখেই ভোটের প্রস্তুতিতে কোমর বাঁধছে তৃণমূল (Trinamool)। আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে (International Women’s Day) রাজপথে নামছেন মমতা। ওইদিন ভবানীপুর থেকে যাদবপুর (Jadavpur) পর্যন্ত হবে পদযাত্রা। নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী (Cm Mamata) স্বয়ং। খুব তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ঠিক তার আগেরদিন বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে নির্বাচনী বক্তব্য রাখতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। একুশের ভোটের আগে নয়া স্লোগানে ভোট ময়দানে আগেই নেমেছে তৃণমূল। একুশের ভোটের আগে মহিলা ভোটকেই পাখির চোখ করছে ঘাসফুল শিবির। হিসেব বলছে, বাংলায় ভোটারের অনুপাত ১০০০ জন পুরুষ প্রতি ৯৬১ জন মহিলা। দেশে মহিলা ভোটারের (Female Voter) অনুপাত বেড়েছেও। তামিলনাড়ু (Tamilnadu), কেরল (Kerala), অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhrapradesh) মহিলা ভোটার পঞ্চাশ শতাংশের বেশি।

আরও পড়ুন-নাড্ডার সভায় বিশিষ্টজনের অভাব, কর্মী দিয়ে ভরল ‘ইন্টেলেকচুয়ালস মিটিং’
নির্বাচন কমিশন বলছে, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) পুরুষ ভোটার ৩.৭৩ কোটি, মহিলা ভোটার ৩.৫৯ কোটি। ভোট দেন রাজ্যের ৮১% মহিলা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলই একমাত্র দল যেখানে ৪২ প্রার্থীর ১৭জন ছিলেন মহিলা, অন্যদিকে বিজেপির (BJP) ৫ জন মহিলা প্রার্থী ছিলেন।

কন্যাশ্রীর হাত ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মান পেয়েছে রাজ্য।রূপশ্রীর প্রকল্পের মতো একের পর প্রকল্পে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর মাস্টারস্ট্রোকও। যেখানে বাড়ির সিনিয়র গৃহকর্ত্রীর নামে কার্ড হয়েছে। এ ছাড়াও ১০০ দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে এ রাজ্যের মেয়েরা। সবমিলিয়ে মহিলাদের গুরুত্ব অনেকখানি বেড়েছে। যা নির্বাচনেও বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।