Monday, November 17, 2025

‘উনি কত বড় নেতা বোঝা যাবে ২মে-র পর’, এবার শুভেন্দুকেই নিশানা প্রশান্ত কিশোরের

Date:

“শুভেন্দুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২ মে যাক, তার পর দেখা যাবে উনি কত বড় নেতা”।

এবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (suvendu adhikary) এবার সরাসরি নিশানা করলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।

একইসঙ্গে বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পিকে বলেছেন, “বিজেপি বাংলায় ১০০-এর বেশি আসন পেলে ভোটকুশলীর কাজই ছেড়ে দেব।” নিজের সংস্থা আইপ্যাক’ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।পিকের চ্যালেঞ্জ, “শুভেন্দু অধিকারী কত বড় নেতা, ২ মে-র পরে বোঝা তা যাবে।”

একুশের বাংলার ভোটে (WBassemblyvote2021) শাসক তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর অনেকদিন করেই চ্যালেঞ্জের সুরে বলে আসছেন, বাংলায় গেরুয়া শিবিরের আসন দুই অঙ্কও পেরতে পারবে না। যদি ‘অঘটন’ হয় তবে নিজের পেশাই নাকি বদলে নেবেন পিকে।বেসরকারি এক চ্যানেলের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সেখান থেকেই এভাবে ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন পিকে।

তৃণমূলের এই ভোটকুশলী
বলেছেন, “বাংলায় বিজেপির আসন ১০০ পেরোবে না। আর যদি পার হয়, তাহলে ভোটকুশলীর পেশা ছেড়ে দেবো,’আই প্যাক’ও ছেড়ে দেবো। বাংলায় বিজেপি জিতলে আমি পেশা বদলে ফেলবো। আপনারা আরও কখনও কোনও ভোটপ্রচারেই আমাকে দেখতে পাবেন না।”

এই সময়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই তো উত্তরপ্রদেশ ভোটে বিজেপির দাপটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সপা-বিএসপি-কংগ্রেসের মহাজোট। কেন এমন ফল হয়েছিলো ?

উত্তরে প্রশান্ত কিশোরের
ব্যাখ্যা, “উত্তরপ্রদেশের ভোটে আমি হেরেছিলাম কারণ ওখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আমার কথা মতো চলেনি। বাংলা নিয়ে এমন কোনও অভিযোগই আমার নেই। দিদি আমাকে কাজ করার যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন। এর পরেও যদি বাংলার নির্বাচনে আমি হেরে যাই, তাহলে বুঝতে হবে আমি আদৌ এই কাজের যোগ্য নই।”
একইসঙ্গে অবশ্য পিকে মেনে নিয়েছেন, তৃণমূলের অন্দরের জাঁকিয়ে বসে আছে কোন্দল৷ আর ওই কোন্দলকেই বিজেপি খুব ভালভাবে ব্যবহার করছে৷ একমাত্র এই পদ্ধতিতেই বিজেপি বাংলা দখল করতে পারে বলেও জানিয়েছেন পিকে।

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ধারাবাহিকভাবে বলে চলেছেন, তারা বাংলায় ২০০-র বেশি আসন পাবে। এ প্রসঙ্গে পিকের উত্তর ছিলো, “বাংলায় বিজেপি-ই আসছে, এই হাওয়াটাই তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের অন্দরে ফাটল এবং আতঙ্ক তৈরি করতেই এই কাজ করছে ওরা। তবে এসব ফাঁকা আওয়াজ করে ভোট জেতা যায় না”৷

আরও পড়ুন:প্রাইমারি টেট মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টা মামলা দায়ের রাজ্যের

পিকে-কে প্রশ্ন করা হয়, বারবার অভিযোগ উঠেছে আপনার জন্যই নাকি অসংখ্য তৃণমূল নেতা দল ছেড়েছেন। অভিযোগ উড়িয়ে পিকের সাফাই, “আমি এখানে বন্ধু বানাতে আসিনি। তৃণমূলকে জেতাতে এসেছি। সেই কাজ করার সময় কেউ কেউ মনে করছেন কোনও কোনও নেতাকে ঠিক পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না৷ এটা সত্যি নয়।”

Related articles

ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বিধবাকে পুড়িয়ে খুন! প্রেমিক গ্রেফতার, পলাতক স্ত্রী

ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড! শিকারিপাড়া থানা এলাকার সীতাশাল গ্রামে তিন বছরের সম্পর্কে থাকার পর ২১ বছরের বিধবা...

অসাংবিধানিক মন্তব্য! রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন কল্যাণ, দিলেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ

চূড়ান্ত অসাংবিধানিক এবং কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপির ‘দলদাস’ রাজ্যপাল বোসের! একজন রাজ্যপাল কীভাবে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন? শ্রীরামপুরের...

ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে শিক্ষক নিয়োগ, মঙ্গলবার শুরু এসএসসির ইন্টারভিউ 

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে প্রায় ২০ হাজার নামের প্রার্থী তালিকা। আগামীকাল, ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু...

অবাস্তব কাজের চাপ: বাংলার পর কেরল, আত্মঘাতী BLO, কাঠগড়ায় কমিশন

দেশের ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক অবাস্তব পদ্ধতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election...
Exit mobile version