দেশের ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক অবাস্তব পদ্ধতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যার ভুক্তোভাগী সাধারণ ভোটার। তবে তার থেকেও বড় অসহায় অবস্থায় বিএলও-রা। কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাঁদের কাজ শেষ করতে হচ্ছে। তাও নির্ভুলভাবে। এবার সেই অমানুষিক চাপে এবার কেরলে (Kerala) আত্মঘাতী এক বিএলও (BLO)। প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া বয়কটের (boycott) ডাক কেরলের সংগঠনগুলির।
কেরলের কান্নুর (Kannur) জেলার পায়ান্নুরের এক বিএলও-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রবিবার সকালে। অনীশ জর্জ নামে ৩৮ বছরের ওই যুবক একটি স্কুলে পিওনের পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের দাবি এসআইআর ফর্ম (enumeration form) বিলি, সংগ্রহ ও ডিজিটালাইজেশনের কাজের অতিরিক্ত চাপ ছিল তার। শনিবার রাত ২টো পর্যন্ত কাজ করে সে। এরপরেই রবিবার সকালে তার দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের দাবি, কাজের ডেডলাইনের চাপ নিয়ে টেনশনে ছিলেন অনীশ। যদিও কেরলের নির্বাচন কমিশনার দাবি করেন, বিএলও-দের অতিরিক্ত কাজের চাপ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। এমনকি নির্বাচন কমিশনার রথন ইউ কেলকার দাবি করেন, বিএলও-দের কোনও অতিরিক্ত চাপ নেই।
কমিশনের এই বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো প্রতিফলন কেরলের বিএলও-দের গলায়। রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন থেকে রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের যৌথ সংগঠন সোমবার রাজ্যে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিল হবে।
আরও পড়ুন : ১৫ দিন টানা ডিউটি! শহর থেকে জেলায় একের পর এক হাসপাতালে বিএলও-রা
বিএলও হিসাবে নিযুক্ত অনীশ জর্জের মৃত্যুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি কেরলের বিএলও-দের সংগঠনের। ইতিমধ্যেই বাংলায় অতিরিক্ত কাজের চাপে মৃত্যু হয়েছে এক বিএলও-র। রবিবারই রাজ্যের দুই বিএলও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে কেরলে বিএলও-র আত্মহত্যার ঘটনা নির্বাচন কমিশনের অপরিণামদর্শিতাকেই প্রমাণ করে।
–
–
–
–
