মোহন ভাগবতের ‘পাসপোর্ট’ নিয়ে আজ ব্রিগেড মঞ্চের নেতৃত্বে মিঠুন, সঙ্গে দেব-ঋতুও!

আজ ব্রিগেডে তারকার বিস্ফোরণ। শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে এমন কিছু তারকার সমাবেশ ঘটাতে চলেছে গেরুয়া শিবির, যাকে তারা মহাধামাকা বলে বর্ণনা করছেন।

শনিবার গভীর রাতে এক পরিচিতের বাড়িতে কৈলাশের সঙ্গে মিঠুনের বৈঠক

মহাধামাকার মূল হোতা নিশ্চিতভাবে বাংলার মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত সিদ্ধান্তকে সামনে রেখেই টলিউডের শীর্ষস্থানীয় তারকারা আজ ব্রিগেডে মোদির পাশে থাকছেন। মিঠুন শুধু থাকছেন তাই নয়, বিজেপির ভোটের প্রচারেও তাঁকে দেখা যাবে বলে খবর। বাম থেকে তৃণমূল হয়ে মিঠুন এখন পুরোপুরি গেরুয়া শিবিরে মনপ্রাণ ঢেলেছেন। আর আজ তাঁর বলিউড পার্টনার অক্ষয় কুমার, মোদির স্নেহধন্য। সঙ্গী আরও দু-একজন নায়িকা ও নায়ক।

তবে মিঠুন তাঁর তাকত বোঝাতে হাত দিয়েছেন টালিগিঞ্জে। টলি-তারকা ঘাটালের দু’বারের সাংসদ দেবকে মঞ্চে এনে তৃণমূলকে ঝটকা দিতে চান মিঠুন। দেব বা দীপক অধিকারীর যত না দলের প্রতি অভিমান, তার চেয়ে বেশি ক্ষোভ টলি ইন্ডাস্ট্রিতে স্বরূপ বিশ্বাসের ‘বাহুবলী’ রাজত্বে। যেখানে তার ‘মন্ত্রী’ দাদার পরোক্ষ প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। বহু অভিযোগ জানিয়েও সমস্যা না মেটায় শিবির বদলে, দল বদলে দেব নিঃশব্দে জবাব দিতে চাইছেন বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত মোদির পাশে দেবকে দেখা না গেলে, তার পিছনে কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগ কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন : জিততে না পারলে মমতার বাড়ির সামনে নিজের ‘ডেডবডি’ রাখতে চান তৃণমূলের এই প্রার্থী

একটি রিয়ালিটি শো-এর শুটিং করতে ভাঙড়ের কাছে স্টুডিওতে এখন আসছেন এবং থাকছেন মহাগুরু মিঠুন। আর সেখান থেকেই কখনও ফোনে কখনও নৈশ সাক্ষাৎকারে টলি তারকাদের রাজি করিয়েছেন, ব্রিগেডে মহাধামাকার শোর তুলতে চেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে টলিউডের এভারগ্রিন নায়িকা ঋতুপর্ণা থাকছেন। থাকতে পারেন দেবশ্রীও। মঞ্চে থাকার প্রবল সম্ভাবনা নায়ক জিৎয়েরও। তাঁর কিছু ‘কিন্তু’র সমাধান মহাগুরু করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ইন্দ্রাণী হালদার, চূর্ণী ও কৌশিক গাঙ্গুলীও থাকবেন। এদের ফেরাতে শেষ চেষ্টায় কতখানি কাজ দেবে তা অবশ্য বলা যাচ্ছে না।

গভীর রাতে মিঠুন কলকাতায় এসে কৈলাশ বিজয়বর্গীর সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। রাত অবধি ফোনে কথা হয়েছে। তৃণমূলকে কিছুটা দেখিয়ে দিতে চান এই ভঙ্গি তাঁর চোখেমুখে। রাজ্যের নেতাদের উপর ভরসা না করে তাই পথ পরিষ্কার করতে মোহন ভাগবতের দরজা দিয়ে নতুন অবতারে তাঁর বাংলায় প্রবেশ। ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী আসলে নবান্নের ১৪ তলার কুর্সি? সৌরভ সরে যাওয়ার পর তিনিই কি ভাগবতের পাঠানো বাংলায় গেরুয়া শিবিরের মুখ?

মিঠুনের ঘনিষ্ঠ মহল এই ‘অপবাদ’ মাথা পেতে নিচ্ছেন বলেই খবর।

Advt

Previous articleজিততে না পারলে মমতার বাড়ির সামনে নিজের ‘ডেডবডি’ রাখতে চান তৃণমূলের এই প্রার্থী
Next articleমোদির মেগা শো: ভোরের আলো ফুটতেই ব্রিগেড-মুখী গেরুয়া জনতা