ভোটের আগে দলবদল ঘটছেই। সবচেয়ে বেশি সংবাদ শিরোনামে আসছে গেরুয়া শিবির। কারণ শাসকদলের অনেকেই এখন পদ্মফুল হাতে নিয়েছে। বিজেপির (Bjp) প্রথম সারিতে নজর রাখলে বেশিরভাগ লোকই প্রাক্তন টিএমসি (Tmc) নেতা-নেত্রী। আর এতে ক্ষোভ দলের অন্দরেই। প্রার্থী ঘোষণা হতেই সেই বিরোধ আরও প্রকাশ্যে চলে এলো। মেদিনীপুরের বহুদিনকার বিজেপি নেতা প্রদীপ লোধা (Pradip Loda), প্রাক্তন জেলা সভাপতি ধীমান কোলে (Dhiman Kole)-সহ অনেকেই এবার দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তথা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রদীপ লোধা।

তাঁর অভিযোগ ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়েছে। যার ফলে কয়েক ঘণ্টা আগে দলে যোগ দিয়েই প্রার্থী হচ্ছেন অনেকেই। শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) নাম না করে মেদিনীপুরের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রদীপ। তিনি বলেন, একসময় যাঁরা এলাকায় বিজেপি উপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁরাই এখন বিজেপির লোক। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের সমর্থনের কোনও প্রশ্নই আসে না।

তবে শুধু তৃণমূল নয়, সিপিআইএম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রদীপ। তিনি বলেন, সুশান্ত ঘোষ-তপন ঘোষ-সুকুর আলির অত্যাচারের কথা ভুলে যায়নি মেদিনীপুর। সুতরাং তাঁদের কোনভাবেই সমর্থন করবেন না তারা। একইসঙ্গে, শুকুর আলির ছেলে বিজেপি নেতা হওয়ায় দলের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রদীপ। তিনি জানান, মেদিনীপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁরা প্রার্থী দেবেন। যদি সেই প্রার্থীরা জয়লাভ করেন, নির্বাচনের পরে তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন। কিন্তু বিজেপি যাঁদের প্রার্থী করেছে, তাঁদের সমর্থন করবেন না প্রদীপ লোধরা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ভোট ভাগ হয়ে গেলে আখেরে লাভ হবে বিরোধীদেরই- মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন:কী করে আঘাত লাগল মুখ্যমন্ত্রীর? আজ কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
