ফের সেনার গুলিতে মৃত্যু অন্তত ১২, সেনা অভ্যুত্থানে রক্তাক্ত মায়ানমার

রক্তস্নাত মায়ানমার (Myanmar)। গুলি চালানোর সময় কাউকেই রেয়াত করছে না মায়ানমারের সেনা।  তাই ১৩ বছরের কিশোরকে মারতেও হাত কাঁপেনি তাদের। যদিও গোটা বিশ্বজুড়ে সেনার এই ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘও এর তীব্র নিন্দা করেছে। কিন্তু কোনু কিছুকেই তোয়াক্কা না করে শনিবার ফের অন্তত ১২ জন গণতন্ত্রকামীকে গুলি করে জুন্টা। এদিনের ম্যান্ডেলায় ধর্নায় বসে থাকা নিরস্ত্র মানুষদের যেভাবে গুলি করা হয়, তা দেখে রীতিমত আঁতকে উঠে প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেনার গুলিতে নিহত হন ১২ জন। সেইসঙ্গে ইয়াঙ্গন, প্যায় ইত্যাদি জায়গাতেও নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সি থু তুন নামের এক প্রতিবাদী জানিয়েছেন, চোখের সামনে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীকেও গুলি করে মেরে ফেলছে মায়ানমার সেনা।  এপর্যন্ত সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ জনেরও বেশি প্রতিবাদী মানুষের।

গত ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমারের সেনা। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে নামেন মায়ানমারের মানুষ। কিন্তু আন সাং সু কি পন্থীদের দমনে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে দেশের সেনা। তাই নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ছাড়াও রবার বুলেট চালাচ্ছে সেনারা। তাতে আহত হয়েছেন প্রতিবাদীরা।

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এনএলডি নেত্রী আং সাং সু কি-র আইনজীবী হিন মাউং জ। তাঁর আশঙ্কা, সু কি-কে নতুন ভাবে আইনি জালে জড়াতে পারে সেনা।

Advt

Previous articleস্কুল-টাওয়ার-১৮০০০ টাকা, আদিবাসী ভোট পেতে রানিবাঁধে গালভরা প্রতিশ্রুতি শাহের
Next articleনন্দীগ্রামে আমার গাড়ির দরজা ইচ্ছাকৃতভাবে চেপে দেওয়া হয়েছিল, বলরামপুরের সভায় ফের দাবি মমতার