Thursday, August 28, 2025

‘বিজেপি বনাম বিজেপি’র কলহে ‘মিশন বাংলা’র দফারফা, বৈঠকে রাজ্য নেতাদের ধমক শাহ-নাড্ডার

Date:

Share post:

লক্ষ্য নীলবাড়ি। আর সেই লক্ষ্যে একের পর এক সভা করে যাচ্ছেন অমিত শাহ(Amit Shah)- জেপি নাড্ডারা(JP nadda)। বাংলা দখলের লড়াইয়ে ভিড় জমিয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে গালভরা প্রচার চালালেও লোক হচ্ছে না সভায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে সোমবার ঝাড়গ্রামের সভা ভার্চুয়ালি সেরেছেন অমিত শাহ। বাংলায় যুদ্ধ জয়ের আশা যে ক্রমশ হতাশাজনক হয়ে উঠছে তা অনুমান করেই সোমবার দিল্লি ফিরে না গিয়ে অসম সফর সেরে রাতেই কলকাতায় এসেছেন বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তার সঙ্গে হঠাৎ আগমন ঘটেছে জেপি নাড্ডার। রাতে নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির রুদ্ধদ্বার কোরকমিটির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেখানেই অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা কাছে রীতিমতো ধমক খেলেন রাজ্য বিজেপির(BJP) শীর্ষ নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের আগে পর্যন্ত তাও বা গুটিকয়েক লোকজনের ভিড় জমছিল সভা গুলিতে। পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে যায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর। দল বদলু নেতাদের কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় আদি বিজেপি। ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তৃতীয় ও চতুর্থ দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর। রাজ্যের প্রায় সমস্ত জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি হেস্টিংসের বিজেপির অফিসে পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শহরের হোটেলে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের আশঙ্কা এমনটা চলতে থাকলে রাজ্যে বিজেপির একেবারে নিশ্চিত ২০ থেকে ২৫ টি আসনও হারাতে হতে পারে গেরুয়া বাহিনীকে। ফলস্বরূপ সমস্যা কোথায় তা আজ রাতের মধ্যে খুঁজে বের করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে।

আরও পড়ুন:কোটি কোটি টাকা দিয়ে তারকা কিনেছে BJP! শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের ঝড়

সোমবার রাতে হঠাৎ ডাকা এই বৈঠকে সরাসরি রাজ্য নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন অমিত শাহ। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তিনি বলেন, বাংলায় যা চলছে তা ‘বিজেপি বনাম বিজেপি’। এমনটা চলতে থাকলে ক্ষমতা তো দূরের কথা, যে কটা নিশ্চিত আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেগুলিও হারাতে হবে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সর্বক্ষন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে রিপোর্ট তৈরি করে আজ রাতের মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কড়া ধমক খাওয়ার পর বেশ চাপে রাজ্য নেতারা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে সমস্যা ঠিক কোথায় তা খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্বরা। কিন্তু রিপোর্ট পেশ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আদেও কী এখন সম্ভব? এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দিলীপ-মুকুল-কৈলাসের কাছে। গেরুয়া নৌকায় যেভাবে ফাটল ধরেছে তাতে শেষ মুহূর্তে তা সারিয়ে তুলে নদী পার হওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advt

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...