আম্বানি (ambani) কাণ্ডে পুলিশ অফিসার শচীন বাজে গ্রেফতার হতেই সরানো হল মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার (Mumbai police commissioner) পরমবীর সিংকে। তাঁকে বদলি করে হোমগার্ড বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, মুম্বইয়ের নতুন পুলিশ কমিশনার হলেন হেমন্ত নাগরালে। বুধবার জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।

সম্প্রতি মুম্বইতে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে জলপাই রঙের একটি পরিত্যক্ত স্করপিও থেকে উদ্ধার হয়, যেখানে মিলেছিল বিস্ফোরক এবং হুমকি চিঠি। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার শচীন বাজের। গত সপ্তাহেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। রাজ্যের বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এক সময়ের শিবসেনা কর্মী শচীন বাজেকে ‘সুরক্ষা’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই অভিযোগ নিয়ে শিবসেনা–এনসিপি–কংগ্রেস জোটের সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে স্করপিও থেকে উদ্ধার হওয়া হুমকি চিঠির তদন্তের দায়িত্বে শুরুতে ছিলেন এই শচীন বাজই, যাঁকে এখন ‘মূল অভিযুক্ত’ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। স্করপিও মালিকের খোঁজ করতে নেমে হীরেন মনসুখ নামে এক গাড়ি যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হতেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। মনসুখের স্ত্রীর দাবি, চার মাসের জন্য ওই গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন বাজ। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্যেও ওই পুলিশ অফিসারকে দায়ী করেছেন তিনি। এরপরই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএকে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্ত চালানোর সময়ে নিজের হাউজিং সোসাইটির ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার বাজেয়াপ্ত করেছিলেন শচীন বাজ। কোনও ভিডিও ফুটেজ লোপাট করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে এনআইএ। আর আম্বানি কাণ্ড ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতেই সরানো হল মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকেও।

আরও পড়ুন- ‘জল খেয়ে কারও মৃত্যু হয়নি’, রিপোর্ট পেশ করে দাবি ফিরহাদের
