ঘরশত্রু বিভীষণ: নাম না করে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার

এগরার পর পটাশপুরের সভাতেও নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Bandopadhyay)। তিনি বলেন, এখানে শুধুমাত্র একজনের ‘একচেটিয়া আধিপত্য’ ছিল। ‘নির্দিষ্ট মানুষের’ অনুমতি ছাড়া তাঁরও পূর্ব মেদিনীপুরে (East Mednapur)ঢোকার অনুমতি ছিল না বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। এই নির্দিষ্ট মানুষটি যে শুভেন্দুই, তা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পরে পটাশপুরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দুটো সভা থেকেই নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘আগেও একাধিক বার পটাশপুরে এসেছি আমি। কিন্তু সেই সময় মেদিনীপুর জেলায় শাসন ছিল একটি নির্দিষ্ট মানুষের হাতে। আমাকেও আসতে দেওয়া হত না। কিন্তু আজ আমি স্বাধীন। মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। আগে আসার আগে অনুমতি নিতে হত। জিজ্ঞেস করতে হত, এগরায় যাব? পটাশপুরে যাব?’’

তৃণমূলনেত্রী (Tmc) বলেন, তিনি ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’-এর অভিসন্ধি বুঝতে পারেননি। ‘‘এত অন্ধ স্নেহ দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবর্তে গদ্দারি করল তারা। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু এটা ভাবতে পারিনি যে ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি (Bjp) -র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল তারা। আজকে সে কথা স্বীকার করছে। আমি বুঝতে পারিনি। তাই এত কষ্ট হয়েছিল। আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।’’ অমিত শাহর হাত থেকে উত্তরীয় পড়ি শুভেন্দু অধিকারী স্বীকার করেছিলেন ২০১৪ থেকে ‘অমিত ভাই’য়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। এই নিয়েই আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী।

আরও পড়ুন:বিজেপির সর্বত্র বিক্ষোভ, অপছন্দের প্রার্থীদের বাড়ি ঘেরাও আদি কর্মীদের

এর পাশাপাশি, ইভিএম লুঠ হওয়ার আশঙ্কা করে ভোটের পর থেকে ফল বেরোনো পর্যন্ত সেগুলি পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা।

Advt

Previous articleবিজেপির সর্বত্র বিক্ষোভ, অপছন্দের প্রার্থীদের বাড়ি ঘেরাও আদি কর্মীদের
Next articleনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিতেশা, ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি