এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। কারো জ্বর সর্দিকাশি হয়েছে কী না, হলে চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া হয়েছে কি না, সে সব খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। কোভিড আক্রান্ত কারা, তা জানতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। জেনে নেবেন কারও কোনও অসুবিধা আছে কী না। জ্বর-সর্দি থাকলেও অবিলম্বে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। রাজ্যের সেফ হোমগুলি আবার চালু করা হচ্ছে। সেখানে উপসর্গহীন কোভিড রোগী আপাতত নেই বললেই চলে। তবে সকলেই যেহেতু বাড়িতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন, তাই স্টে হোম চালু হচ্ছে। টেলি মেডিসিনও আবার চালু হতে চলেছে।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব কোভিড হাসপাতালকে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শয্যা সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। সব জেলাকে আগামী তিনদিনের মধ্যে গড়ে একহাজার পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই আলাদা করে না দেখে কোভিড (COVID-19) প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা করতে হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখরচায় আরটি-পিসিআর (RTPCR) পরীক্ষা করতে হবে। কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হলে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে হবে। আর যাঁদের তা সম্ভব নয়, তেমন ব্যক্তিদের জন্যই ফের রাজ্যের কয়েকটি জেলায় চালু হচ্ছে সেফ হোম। মঙ্গলবার ২৭টি স্বাস্থ্য জেলার সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের ভিডিও কনফারেন্সে এই বক্তব্যই উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য মূলত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনা জেলা নিয়েই উদ্বেগ বেশি। কোভিডবিধি কোনওভাবেই মানা হচ্ছে না। মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই জন্য চাই ব্যাপক প্রচার। জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের ফের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
