নন্দীগ্রামে পাল্টা, আক্রান্ত তৃণমূলকর্মীদের নিয়ে রাতেই সভা কুণালের

খেজুরিতে যখন তৃণমূল (Tmc) প্রার্থী ডক্টর পার্থপ্রতিম দাসকে (Partha Pratim Das) নিয়ে এলাকায় অন্যরকম রোড শো করছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), বুধবার দুপুরে সেই সময় নন্দীগ্রামের (Nandigram) প্রত্যন্ত অঞ্চল ডিজামপুরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রচারে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়, জামা কাপড় ছিড়ে দেওয়া হয়। সেখানকার যুবনেতা কোহিনুর ফোন করে সেকথা জানান কুণালকে। তিনি আর্জি জানান, যত রাতই হোক তৃণমূল মুখপাত্র যেন ডিজামপুরে এগিয়ে সভা করেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। কুণাল ঘোষ তখনই সিদ্ধান্ত নেন খেজুরির রোড শো ও তিনটি সভা সেরে তিনি রাতেই যাবেন নন্দীগ্রামে।

গ্রামের রাস্তা ধরে মাঠ, শস্যক্ষেত পেরিয়ে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যখন কুণাল ঘোষ পৌঁছন তখন রীতিমত সন্ধে। কিন্তু তিনি পৌঁছতেই বিপুল উৎসাহ দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক-সহ বহু গ্রামবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে সভায় যোগ দেন। বিপুল সংখ্যায় মহিলারা সেখানে জড়ো হন। কুণাল ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। সেখান থেকে বিজেপি প্রার্থী জামানত জব্দ হবেন। সেটা বুঝতে পেরেই তৎকাল বিজেপি কর্মীরা শাসকদলের নেতা-কর্মীদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। কুণাল অভিযোগ করেন, যাঁরা তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁরাই এখন তৃণমূলকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন- এখনই লকডাউন নয়, মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ রাজ্যের

তৃণমূল মুখপাত্র উপস্থিতি এবং তাঁর ভোকাল টনিক (Vocal Tonic) উৎসাহ দেয় স্থানীয় তৃণমূলকর্মীদের। এলাকার বাসিন্দারা জানান, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু তৎকাল বিজেপিরা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

কুণাল ঘোষ বলেন, যাঁদের চোখ দিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামকে দেখেছিলেন, তাঁরাই এখন গিয়ে বিজেপিতে ঢুকে তৃণমূলকে বাধা দিচ্ছেন। তিনি আদি বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এরমধ্যে জড়াবেন না। তৎকাল বিজেপিদের রুখে দেওয়া হবে”। একইসঙ্গে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

কুণাল বলেন, নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক তথা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে যেখানে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রচার করতে বাধা দেয় তৎকাল বিজেপি (Bjp), সেখানে সন্ধেবেলায় গিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধোনা করে দলীয় কর্মীদের মনোবল বহুগুণ বাড়িয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতে, এবার ভোট পর্যন্ত তাঁরাই দুর্গ সামলে নেবেন।

আরও পড়ুন- শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়ল পরমবীরের, অন্যদিকে অ্যান্টিলিয়া মামলায় যোগ হল UAPA ধারা

Advt

Previous articleওমানের বিরুদ্ধে তরুণ ব্রিগেডের ওপর জোর স্টিমাচের
Next articleচোটের কারণে ছিটকে গেলেন শ্রেয়স