মমতার সমর্থনে ফুটছে বাঁকুড়া, শেষ পর্বের প্রচারে ঝড় কুণালের

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। আর সেদিনই বাঁকুড়ায় (Bankura) পূর্বনির্ধারিত সূচির পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের অনুরোধে একাধিক রোড শো ও সভা করলেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চৈত্রের কড়া রোদ মাথায় নিয়ে জয়পুরে কোতুলপুরের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা মালিককে (Sangita Malik) নিয়ে রোড শো-য়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গী ছিলেন টলিউডের অভিনেতা সৌপ্তিক। কখনও হেঁটে, কখনও ম্যাটাডোরে মিছিল করেন তৃণমূল মুখপাত্র। যাতায়াতের সুবিধার একদিকের রাস্তা ছেড়ে রাখা হয়। কিন্তু সেখানেও গাড়ি থেকে শুরু করে টুরিস্ট বাস দাঁড় করিয়ে কুণাল ঘোষের সঙ্গে হাত মেলান যাত্রীরা। জায়গায় জায়গায় মহিলারা জোড় হয়ে পুষ্পবৃষ্টি করেন।

গত লোকসভা নির্বাচনে ওই অঞ্চলে বড় লিড পেয়েছিল বিজেপি। ঘটনাচক্রে তৃণমূলের রোড শো-এর সময় ওই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি (Mp) সাংসদ সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar) এবং এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁরা কার্যত নীরবে ওই জায়গাটা চলে যান এবং সাক্ষী থাকেন তৃণমূলের ব়্যালি ঘিরে জনতার বিপুল উদ্দীপনার।

সেখান থেকে কুণাল ঘোষ যান বেলিয়াতোড়ে। যাওয়ার সময় বিষ্ণুপুরে একটি প্রত্যন্ত পল্লির মধ্যে দিয়ে শর্টকাটে পৌঁছতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই বিষ্ণুপুরের প্রার্থী অর্চিতা বিদকে নিয়ে সভা করছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাই কুণালকে আর্জি জানান, সেই সভায় গিয়ে ভাষণ দিতে। ফলে নির্ধারিত সূচির বাইরে গিয়ে কর্মীদের আবদারে পথসভায় ভাষণ দেন কুণাল। আর সেখানে তিনি বলেন, এই কারণেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বলেন, নীচুতলার কর্মীরাই হলেন তৃণমূলের সম্পদ। কারণ একটি অত্যন্ত ছোট জায়গাতেও শেষ মুহূর্তে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

সেখান থেকে কুণাল ঘোষ পৌঁছন বড়জোড়া কেন্দ্রের বেলিয়াতোড়ে। সেখানে কথা ছিল জনসভার। কিন্তু তার আগে মিছিল করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আসছিলেন সভায়। দলীয় কর্মীদের দাবি মেনে সেই মিছিলে পা মেলান তৃণমূল মুখপাত্র। তারপর সেখানে সভা করেন। প্রত্যেকটি সভাতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিপুল সংখ্যায় মহিলারা সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র জনসভা ও মিছিল নয়, একেবারে ওয়ান ইজ টু ওয়ান জনসংযোগ করেন কুণাল ঘোষ।

বাঁকুড়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল। এদিন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ জানান, লোকসভার খতিয়ান এখন অতীত। বাঁকুড়ায় বিপুল সমর্থন পেয়ে জয়ী হবে তৃণমূল। বহিরাগত নয়, সারা বাংলার সঙ্গে বাঁকুড়াও “নিজের মেয়েকেই চায়”।

আরও পড়ুন- মমতাতেই ভরসা রাখার বার্তা শতাব্দীর

Advt

 

Previous articleমমতাতেই ভরসা রাখার বার্তা শতাব্দীর
Next articleবিজয়ী বিধায়করাই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার কোনো মানে নেই: দিলীপ ঘোষ