Thursday, August 21, 2025

কোকেনের পাউচ হাতে ধরিয়ে ভোট কেনা হচ্ছে, বাংলায় এই ধারা ছিল না: সেলিম

Date:

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। সেলিম এদিন দিকে দিকে জোট প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার বার্তা তো দিলেনই। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল, বিরোধী, নির্বাচন কমিশন সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের দিকেও আঙ্গুল তুললেন। তিনি এদিন বলেন নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় আপনাদের সঙ্গে ঠিক ঘন ঘন দেখা হচ্ছে না। আজ আমাদের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক, প্রতি বুধবার যেমন হয়। ইতিমধ্যে নির্বাচনের একটি পর্ব হয়েছে। আগামিকাল আরেকটি পর্ব। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়, তা দেখার দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নির্দেশিকা জারি করে কমিশন ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা আশা করব সিইও দফতর থেকে শুরু করে, পরিচালনা জাতীয় নির্বাচন কমিশন করতে পারবে। যারা ভেবেছিলেন , মারামারি খুনোখুনি, হইচই করে ভোট হবে তাদের বলি বাংলার মানুষ শান্তি চায়। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চায়। ভোট শুরুর আগেই আমরা দেখেছি বিজেপি তৃণমূল দুই দলের তরফেই হুমকি, উস্কানি, প্ররোচনা ভয় দেখানো সব পর্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আধা সেনাবাহিনী দিয়ে এবং রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনের একাংশকে দিয়ে ভোটে ত্রাস তৈরির সৃষ্টি করেছিল। আমি আশা করব নির্বাচন কমিশন সেই সব এড়িয়ে আমাদের একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেবেন। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমকেও এদিন একহাত নিলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বললেনএবং গণতন্ত্রকে সুগঠিত এবং সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব প্রচার মাধ্যমেরও। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ পক্ষপাতপুষ্ট হয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে । বিজ্ঞান বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনভিত্তিক অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিয়েছে। ওপিনিয়ন পোলের মাধ্যমে ভুল, অসত্য খবরকে প্রচার করে মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি প্রচারমাধ্যমকে এর থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করব।

সেলিম এদিন আরো বলেন, বাংলার ভোটে আগে একটা ব্যাপার ছিল না যা এবার চালু হয়েছে। টাকার বৈভব এবং মাদকের প্রলোভন। কুড়ি টাকার কোকেনের পাউচ দিয়ে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে ভোট কেনা..এই ধারা পশ্চিম বা উত্তরে ভারতে ছিল কিন্তু বাংলায় ছিল না। যা আমাদের এখানেও চালু হয়ে গেছে। আমি পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব এই প্রথা কঠোরভাবে বন্ধ করা হোক। ভোট এলেই আমরা দেখি চারিদিকে খানাতল্লাশি শুরু হয়েছে । কালো টাকা উদ্ধার হচ্ছে। রিক্সা চেক হচ্ছে গাড়ি চেক হচ্ছে। কিন্তু হেলিকপ্টার তো চেক করা হচ্ছে না? মজুদ করে রাখা বেআইনি অস্ত্র, বোমা গুলি যা কিছু আছে সব উদ্ধার করতে হবে। একদিকে তৃণমূল চিৎকার করছে খেলা হবে। একদিকে বিজেপি চিৎকার করছে খেলা হবে। কিন্তু যাদের খেলার কথা সেই ছোট ছোট বাচ্চারা বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে মারা যাচ্ছে। খেলার মাঠ নেই, সরঞ্জাম নেই। কমিশনের অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীকে এফিডেভিট জমা করতে হয়। যা সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের সাইটে আপলোড হয়ে যায়।এবার দেখা যাচ্ছে বিজেপি প্রার্থীদের এফিডেফিট তখন জমা পড়ছে না পরে জমা পড়ছে। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, সবাই যখন একসঙ্গে জমা দিচ্ছে তখন বিজেপি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে ভোট চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ এটা পছন্দ করছেন না।

Related articles

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...

মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্যে কয়েকটি মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ-নিয়ে বৃহস্পতিবারই তিনি এক্স হ্যান্ডলে...
Exit mobile version