‘ভোট দ্বিতীয়া’য় আজ বাংলার ৩০ আসনে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। অবশ্যই গোটা দেশের নজর আজ আটকে রয়েছে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে(Nandigram)। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি(BJP) ২০১৯-এর লোকসভা ফলের নিরিখে দ্বিতীয় হয়ে যায়। আর এ বার তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। প্রার্থী বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। উল্টো দিকে তৃণমূলের ভোট-কাণ্ডারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ফলে আজ আরও ২৯ আসনে ভোটগ্রহণ থাকলেও সব আলো পূর্ব মেদিনীপুরের এই গ্রামীণ কেন্দ্রে। যদিও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে চলছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন।
একজনকে দেখে নেওয়া যাক সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির দিকে…
১) দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে হিংসার ঘটনা রাজ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। নিহত ব্যক্তির নাম উত্তম দলুই। তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২) কোনরকম অশান্তি এড়াতে ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগেই ‘সিল’ করে দেওয়া হল নন্দীগ্রাম। জলে এবং স্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে বেশ কিছু দিন ধরেই নন্দীগ্রাম এলাকায় বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তুলে আসছিল তৃণমূল। কার্যত সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়েই বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয় ।
৩) নন্দীগ্রামের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে কমিশন। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে ২২০০ বাহিনী। প্রতি বুথে মোতায়েন ৮ জন করে জওয়ান।
৪)কেশপুরে বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর ।
৫) সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে ৪ জেলার ৩০ টি আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব ৷ আর ইতিমধ্যেই বাংলার জনগণের উদ্দেশে “রেকর্ড ভোটদান করুন” এমনই বার্তা বাংলায় টুইট করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷
৬) ডেবরার তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীরকে বুথে ঢুকতে বাধা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস।
৭) ডেবরায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
৮) খানাকুলে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর; অভিযুক্ত শাসকদল।
নির্বাচনী কার্যালয় থাকা ৫ বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । তাদের মধ্যে একজনকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল ও আরেকজনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ।
৯) পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সরিষা খোলা এলাকায় বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কেশপুরে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা মারমুখী হয়ে ওঠে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
১০) নন্দীগ্রামে সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, বামফ্রন্টের মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত পোলিং এজেন্টরা বসতে পেরেছেন। এখনও পর্যন্ত যে কটা জায়গায় গিয়েছি, ভোট ঠিকঠাক হচ্ছে। সব দলেরই পোলিং এজেন্ট বসেছে। নিরাপত্তা আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। তবে যাঁরা ভোটার, সাধারণ মানুষ, তাঁদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:মিশন নির্বাচন! রাত পোহাতেই পিপিএফ ও স্বল্পসঞ্চয়ে সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত বদল
১১) নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কালীচরণপুরে রাতভর চলেছে বোমাবাজি। সকালেও বোমাবাজি জারি ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজি ও মারধর করে। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। রাতভর ধরে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতেও।
১২) নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভেকুটিয়ায় বিজেপি কর্মীর (Bengal BJP) রহস্যমৃত্যু। ঘরের ভিতর থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির জেরেই আত্মহত্যা তিনি।
১৩) দুপুর ১ টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছে ৩৭.৪২ শতাংশ।
১৪) ইন্দাস বিধানসভার রোল গ্রামে একটি ক্লাবে অবাধ জমায়েত ঠেকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।
১৫) ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য পাথরপ্রতিমায়। ওই জওয়ানের নাম কমল গঙ্গোপাধ্যায়ের। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা তিনি। ভোটে পাথরপ্রতিমা বিধানসভা এলাকার গুরুদাসপুর বুথে ডিউটি পড়েছিল তাঁর।
১৬) ইভিএম বিভ্রাটের অভিযোগ তুলে ধরলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ।