নন্দীগ্রাম ছাড়ার আগে তৃণমূল কর্মীদের ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। যদিও রাজ্যে একাধিক জেলায় এখনো চলছে লড়াই। টানা কয়েকদিন নন্দীগ্রামে(Nandigram) কাটানোর পর শুক্রবার উত্তরবঙ্গে উড়ে যান যুদ্ধের মহারথী। তবে যাওয়ার আগে তৃণমূল কর্মীদের(TMC worker) গুরুদায়িত্ব দিয়ে গেলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বলে গেলেন সজাগ থাকার জন্য।

নির্বাচন উপলক্ষে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় ভোটের কয়েক দিন বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট মিটে যাওয়ার পর শুক্রবার ফের পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। নন্দীগ্রাম ছাড়ার পর জানিয়ে যান এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে তিনিই জয়ী হচ্ছেন। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের কাছে আশঙ্কাও প্রকাশ করে যান মমতা। বলেন, ভোটের গণনা হতে এখনো একমাস বাকি রয়েছে। এর মধ্যে অনেক কিছু করতে পারে বিজেপি। মমতার কথায়, ‘নন্দীগ্রামে আমার জয় নিশ্চিত। কিন্তু এতেই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আগামী একমাস ভালো করে ইভিএমগুলো পাহারা দিতে হবে। অনেক ষড়যন্ত্র হবে, সেগুলোকে রুখে দিতে হবে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নির্বাচন চলাকালীন অমিত শাহ ঘোষণা করে দেন নন্দীগ্রাম থেকে মমতার নিশ্চিত। কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে একই দাবি করেন অমিত শাহ। যদিও বিজেপির এহেন দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে নিজেদের হেরে যাবে জেনেও বাকি নির্বাচনগুলিতে কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহে যাতে ভাটা না পরে তাই নিজেদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমিই নন্দীগ্রামে জিতব। কিন্তু শুধু আমি জিতলেই হবে না, ২০০–র বেশি আসনে জিততে হবে আমাকে।’ পাশাপাশি এই ভোট নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন- বাবা ফিরে আসুন: মাকে আগলে রেখে চান শোভন-পুত্র

Advt

 

Previous articleকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক
Next articleবয়াল-কাণ্ডে নির্বাচন কমিশনের ‘ক্লিন- চিট মমতাকে