তবে ভোটবঙ্গে মহামারির দাপাদাপির মাঝে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ভোট দিয়ে মাঠেই ফেলা হল গ্লাভস। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোট দেওয়ার সময় প্রত্যেককে একটি করে গ্লাভস দেওয়া হচ্ছে। ভোট দেওয়ার পর সেটি নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে দেওয়ার কথা ভোটারদের। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার গার্লস স্কুলে একেবারে উল্টো চিত্র দেখা গেল। ভোট দেওয়ার পর স্কুলের মাঠের মধ্যে সেই সব গ্লাভস ফেলে দিচ্ছেন ভোটাররা। মাঠজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে এই গ্লাভস। আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংক্রমণ রুখতে যেখানে নানা বিধি পালন করা হচ্ছে, সেখানে এভাবে কেন খোলা জায়গাতেই এসব ফেলা হল? ওই বুথে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বক্তব্য, সকাল থেকে এখানে এই গ্লাভস ফেলার ডাস্টবিন রাখা ছিল না। পরবর্তী সময় সেটি আনা হয়। তার আগে যাঁরা ভোট দিয়ে বেরিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই মাঠে গ্লাভস ফেলে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ও বাসন্তীতে করোনা আক্রান্ত রোগীরা বুথে গিয়ে ভোট দিলেন। গতকাল, মঙ্গলবার বাসন্তী বিধানসভার কালীডাঙা এফ পি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে ভোট দিলেন লেখা নস্কর নামে এক মহিলা। চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে বুথে আসেন লেখাদেবী। মুখ মাস্ক এবং সাধারণ পোশাকে এসেই ভোটদান করেন তিনি। ওই মহিলা ভোটদানের সময় ঘরে সব ভোটকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গোসাবাতেও একই ছবি দেখা গেলো।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে ৮ দফায় ভোট করছে নির্বাচন কমিশন। এই করোনা আবহের মধ্যে এভাবে ভোট পরিচালনার জন্য আগামী দিনে যদি কোভিড মহামারি আকার নেয়, তার জন্য দায়ী থাকবে নির্বাচন কমিশন। এর জবাব দিতে হবে তাঁদের। কুণাল সরকারের কথায়, মানুষের জীবনের থেকে আর কিছুই বেশি মূল্যবান হতে পারে না। রাজনৈতিক দলগুলিকেও তিনি সচেতন হওয়ার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন:ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়