করোনার প্রতিষেধক টিকা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)।এমনকি ভারতকে বিশ্বদরবারে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সংস্থার কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা। ইতিমধ্যেই দেশের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তেও পৌঁছে যাচ্ছে “কোভিশিল্ড” (Covishield)। এত কিছুর মাঝেও আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে সংস্থা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা জানালেন, এখন তাঁর প্রয়োজন ৩ হাজার কোটি টাকা।

সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েই সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা বলেন, “যেখানে টিকার দাম আনুমানিক ১৪৭০ টাকা, সেখানে আমরা ভারতে ১৫০-১৬০ টাকায় করোনা টিকা বিক্রি করছি। কেবলমাত্র কেন্দ্রের অনুরোধেই আমরা ভর্তুকি মূল্যে টিকা বিক্রি করছি। তবে এর কারণে সংস্থায় আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব টিকা উৎপাদনে পড়ছে। এই ঘাটতি মেটাতে আগামী জুন মাসের মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার।”
তিনি জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যেই টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আর্থিক ঘাটতির বিষয়েও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের কাছ থেকে ঋণ নয়, আর্থিক অনুমোদন চাইছি। এই অনুমোদন পেলেই সংস্থার উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। টাকা পেলেই আগামী দুই মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্বিগুণ করা যাবে।”

অন্যদিকে ভ্যাকসিন দিতে দেরি হওয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে যে আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টিকা দেরিতে পৌঁছনোর কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকা আইনী নোটিস পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তবে এটি গোপনীয় বিষয়ের আওতাভুক্ত হওয়ায় আইনী নোটিসের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো সম্ভব নয়। তবে আমরা সমস্ত দিকই পর্যালোচনা করে আইনী সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
