রক্ত ঝরল চতুর্থ দফায়, জায়গায় জায়গায় আক্রান্ত প্রার্থীরাও

শেষ ৩ দফায় রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই কেটেছিল নির্বাচন পর্ব। তবে চতুর্থ দফায় রীতিমতো রক্ত ঝরল বাংলায়(West Bengal)। কেন্দ্রীয়বাহিনীর(Central Force) গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি, মোট ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় প্রার্থীর আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি জাল ভোটার ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগও উঠেছে চতুর্থ দফার নির্বাচনে। সব মিলিয়ে চতুর্থ দফার নির্বাচন মোটেই শান্তিপূর্ণ রইল না বাংলায়।

শনিবার চতুর্থদফা নির্বাচনের সকালেই অশান্তির খবর পাওয়া যায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে(Shitalkuchi)। সেখানে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয় এক নতুন ভোটারের। এই ঘটনার কিছু সময় পর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে সেখানে মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাহিনীর তরফে অবশ্য দাবি করা হয় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে বাহিনী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যরাজনীতি। অন্যদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের ভোটারদের আটকে রাখার অভিযোগে এবার ধর্নায় বসেন তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। অভিযোগ তোলা হয় ২০০ সংখ্যালঘু পরিবারের ভোটারদের আটকে রাখা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে হুগলির চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও। লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন লকেট। সে জন্যই তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। অভিযোগ ওঠে কসবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও। বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁকে ঘিরে তৃণমূল সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখা বলে অভিযোগ ওঠে। যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান এলাকার রায়পুরের একটি বুথে সিপিআিইএমের পোলিং এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন:‘বাংলায় রাজনীতির নতুন পরিবেশ দেবে বিজেপি’, বাহিনীর গুলিতে ৪ মৃত্যুর পর মোদি

পাশাপাশি বুথ পরিদর্শন করার সময় নিজের কেন্দ্র টালিগঞ্জের ব্রহ্মপুর থেকে ‘জাল ভোটার’কে হাতেনাতে ধরার দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন ওই ‘জাল ভোটার’। তবে কার হয়ে ওই ভোটার ভোট দিচ্ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। আপাতত তাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও বাবুলের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরাই এই কাজ করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের উপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুথ পরিদর্শনে যাওয়ার সময় কে বা কারা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি।

Advt

Previous articleশীতলকুচির ঘটনার সিআইডি তদন্ত হবে : মমতা
Next articleআপাত শান্ত ভাঙড়ে মুচকি হাসি আরাবুলের, আগাম জয়গান তৃণমূলের