শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর দায় তৃণমূলের দিকে ঠেললেন মোদি

নির্বাচন কমিশনের(election commission) তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে শীতলকুচিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে কমিশন স্বীকার করে নিলেও ভোটের দিনে বাংলায় রাজনৈতিক সভামঞ্চে উপস্থিত হয়ে গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপির সমর্থন দেখে দিদি ও তার গুণ্ডারা এসব করেছে।’ সবমিলিয়ে চতুর্থদফার ভোটে চার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

শনিবার চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন শিলিগুড়িতে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত হয়ে শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে এনে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কোচবিহারে যা হয়েছে, তা দু:খজনক। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। কমিশনের কাছে আর্জি, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিন।’ এরপর সারাসরি ঘটনার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে মোদি বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপির সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুণ্ডারা এইসব করছেন। দিদি আপনার কুর্সি চলে যাচ্ছে। আমি দিদি ও তাঁর গুণ্ডাদের সকাফ জানাচ্ছি, বাংলায় এসব চলবে না। হিংসা আপনার রক্ষা করবে না।’

শুধু তাই নয়, শনিবারের জনসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘দিদির মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছেন। বাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে আপনি উস্কানি দিচ্ছেন। বাংলায় দিদির জমিদারি চলবে না। দিদি বাংলাকে নষ্ট করেছেন। ১০ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে দিদি জনগণকে শেখাচ্ছেন, কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে হয়, হামলা করতে হয়।’ তবে শীতলকুচির ঘটনায় যেখানে নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রচারে এসে এই ঘটনার দায় কীভাবে তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে পারে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আজ সমস্ত জনসভা করে, উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আগামীকাল ওই বুথে সকাল দশটায় যাব। আর এই ঘটনায় ঘটিয়েছে সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করছি।’

Advt

Previous article“পোদে”র ঝুঁকি নিলেন না মোদি, আজ মুখে “কমল”
Next articleআরসিবিতে ফিরে পাঁচ উইকেট নিয়ে খুশি হর্ষল