বেশি খেলতে গেলে শীতলকুচির খেলা খেলে দেব, প্রচারে লাগামহীন সায়ন্তন

শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে বিজেপি (bjp) রাজ্য সভাপতির দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে উৎসাহিত হয়ে এবার বেপরোয়া সাম্প্রদায়িক (communal) বিদ্বেষ ছড়াতে নেমে পড়েছেন অন্য নেতারা। শীতলকুচিতে (shitalkuchi) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুকে সমর্থন করে লাগামহীন বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসু। বিজেপি নেতাদের মধ্যে কার্যত সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছড়ানোর অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ সব দেখেও নির্বিকার নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য পেশ করার অভিযোগে সক্রিয় হয়ে চিঠি পাঠালেও বিজেপি নেতাদের বেলায় কমিশন চোখ বুজে থাকায় তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে। কমিশনের নিষ্ক্রিয়তায় উৎসাহিত হয়ে বিজেপি নেতারা ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করতে নেমে পড়েছেন।

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর খোলামেলা উস্কানি: ‘বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।’ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে উৎসাহিত বিজেপি নেতা শীতলকুচিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে এই চরম বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘খেলা বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।’ শীতলকুচির ঘটনা টেনে সায়ন্তনের মন্তব্য, ‘সকালবেলা আনন্দ বর্মনকে মেরে দিল। প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিল। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই চারটেকে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সিনেমার ডায়লগ টেনে তিনি বলেন, ‘এক মারোগে তো চার মারেঙ্গে, শীতলকুচিতেও তাই হয়েছে।’

Advt

 

Previous articleশীতলকুচির ঘটনা আর কিছু প্রশ্ন
Next article৪ জন নয়, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল শীতলকুচিতে! বিস্ফোরক রাহুল সিনহা