বাজারে আকাল অথচ বিজেপির পার্টি অফিসে দেদার মিলছে ‘জীবনদায়ী’ রেমডেসিভির

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনার ‘জীবনদায়ী’ ওষুধ রেমডেসিভির। করোনার বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতি যতদিন না আয়ত্তে আসছে ততদিন রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু এরই মধ্যে গুজরাতের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে দেদার বিলি হচ্ছে ‘জীবনদায়ী’ এই রেমডেসিভির। অথচ বর্তমানে এই টিকার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। তবে কার অনুমতিতে দলীয় কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে এই ওষুধ? হাতেনাতে পাকড়াও হয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।  খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে এইনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।তাঁদের প্রশ্ন কার অথরিটিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এই ওষুধ বিলি চলছে?

গুজরাটের zydus হাসপাতালের সামনে রেমডেসিভির চাহিদা এতটাই যে কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধ। কোথাও কোথাও স্টক ফুরিয়ে গেছে বলে হাত উল্টে দিয়েছেন ওষুধের দোকানের কর্তারা। অথচ সেখান থেকে কয়েক পা হাঁটলেই নভসারি এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রীতিমত চলছে এই ওষুধ বিলি। যেখানে মানুষ অতিমারির হাত থেকে বাঁচতে জীবনদায়ী ওষুধ কিনতে ঘণ্টার পর ঘন্টা ওষুধের দোকানে লাইন দিয়েছেন, চাহিদা থাকলেও ওষুধের যোগান দিতে পারছেন না বহু বিক্রেতা। আর সেখানে কিনা গেরুয়া শিবিরের দলীয় কার্যালয়ে রীতিমত স্টক করা হয়েছে রেমডেসিভির। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই রবিবার গুজরাটের বিজেপির মিডিয়া আহ্বায়ক যজ্ঞেস দাভের সাফাই, “স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে সুরাটে বিজেপি রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন বিনামূল্যে বিতরণ করছে। এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সি আর পাটিলের নির্দেশে যতটা পরিমাণে এই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে সেই মত বিতরণ হচ্ছে। গরীব মানুষেরা যাতে কোভিড থেকে বাঁচতে পারে সেই কারণেই এই প্রচেষ্টা”। যদিও বিজেপির এই সাফাই যে সম্পূর্ণ মিথ্যে তা প্রমাণ করেছেন একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্রের উচ্চপদস্থ কর্তা। তিনি পালটা জানিয়েছেন, ‘ব্যাক্তিগতভাবে এই ওষুধ কেউ দিতে পারে না। সেই অথরিটি কারোর কাছেই থাকে না।”

Advt

Previous articleআচমকা আগুন বাগুইআটি ফ্লাইওভারের নীচে, গাড়ি থামিয়ে তদারকি মমতার
Next articleনাইট গার্ড থেকে আইআইএমে অধ্যাপনা, রূপকথার উত্তরণ রঞ্জিতের