জোর যার মুল্লুক তার। কিন্তু বুদ্ধি যার? দুনিয়া তার। প্রাণী রাজ্যে অন্য সকলের থেকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা বেশি। তাই তো মানুষ সেরা। কিন্তু বুদ্ধি আসে কীভাবে? জিনগত কারন তো আছেই। কিন্তু শৈশব থেকে কিছু সুঅভ্যাসের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলে নাকি বুদ্ধিমত্তা দারুণ বেড়ে যায়। অন্তত আধুনিক বিজ্ঞান এমনটাই বলছে। কী সেই অভ্যাস? চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা বলছেন নিয়মিত শরীরচর্চা এবং শৈশবকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েট। এই দুটি ঠিকভাবে মেনে চললে মস্তিষ্ক হবে ক্ষুরধার সম্পন্ন। ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইডের গবেষকরা দেখেছেন যে শিশুকাল থেকেই যোগব্যায়াম করলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর অকারন উদ্বেগ ও অস্থির আচরণ হ্রাস করে। পাশাাশি পেশি সুগঠিতি করে এবং মস্তিষ্কের গ্রহণ ও ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

তাঁরা কয়েকটি ইঁদুরকে দিয়ে পরীক্ষাটি করেছিলেন। পশ্চিমী দেশগুলিতে পাশ্চাত্য ধারার বেশি চর্বি এবং চিনিতে ভরপুর ডায়েটে এরা স্থূল হয়ে ওঠে। এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি এক আকর্ষণ তৈরি হয় । সেই সব ভেবে গবেষকরা তরুণ ইঁদুরদের চারটি গ্রুপে ভাগ করেছেন। যারা ব্যায়াম করে, যারা ব্যায়াম করে না, যারা সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছে এবং যারা পাশ্চাত্য ডায়েট অনুসরণ করেছে। ইঁদুরগুলো দুধ খাওয়া ছাড়ার পর থেকেই তাদের ডায়েটে রাখা শুরু হয়েছিল । তিন সপ্তাহ ধরে যৌন পরিপূর্ণতা আসা পর্যন্ত ওই নিয়মেই থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তাদের হরমোনের মাত্রা মাপা হতে থাকল।

দেখা গেল, প্রথম জীবনের অনুশীলন শরীরে লেপটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এটি এমন একটি হরমোন যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া যে ডায়েটই অনুসরণ করা হোক না কেন এই হরমোন শরীরের ফ্যাট মাসও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বলা হচ্ছে জীবনের প্রথম বছরগুলিতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে সঠিক ডায়েট।
