হাওয়া তুললেও তৃণমূলের মতুয়া ভোটে থাবা বসাতে পারেনি বিজেপি, বলছে পরিসংখ্যান

মতুয়া (Matuya) সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির (BJP) হাওয়া বাড়লেও এখনও পর্যন্ত এই গড়ে তৃণমূলের (TMC) ভোট ব্যাঙ্ক (Vote Bank) অটুট। ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের সবচেয়ে অধিক মতুয়া প্রভাবিত বনগাঁ লোকসভা আসনটি বিজেপি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও ঘাসফুল শিবিরের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামেনি, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মতুয়া গড়ে ভোট আরও বাড়িয়ে নিয়েছে।

হিসেব বলছে, বাম তথা সিপিএমের মতুয়া ভোটের পুরোটাই চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এবং ওই এলাকায় আসনগুলিতে ভোট বেড়েছে তাদের। সেই কারণেই বিজেপির পক্ষ থেকে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলের পাশ থেকে সরে গিয়েছে মতুয়া সমাজ।

কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে উল্টো কথা। ২০১৫ সালে উপনির্বাচনের তুলনায় ২০১৯ সালে তৃণমূলের মতুয়া ভোট বেড়েছে ৩৬ হাজার। অর্থাৎ তৃণমূলের মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রয়েছে।

এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে জোর প্রচার শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। CAA কার্যকরী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই পালে আরও হাওয়া লাগাতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তাতে আদৌ কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

অন্যদিকে, ঠাকুর বাড়ির বড় মা জীবিত থাকায় কিংবা তাঁর প্রয়াণের পর মতুয়াদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। ঠাকুর হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। তাঁরই উদ্যোগে পাঠ্যপুস্তকে জায়গা পেয়েছে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের জীবনী, বড়মা বীণাপাণিদেবীকে বঙ্গবিভূষণ উপাধি, মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গঠন হয়েছে। তবে, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে ৯ এপ্রিল রাজ্য সরকারের ছুটি ঘোষণা এবারের ভোটে তৃণমূলের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হতে পারে।

আরও পড়ুন:দোষীরা শাস্তি পাবে: শীতলকুচির মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাস মমতার

সব মিলিয়ে মতুয়া ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের মনোবল ভাঙার যে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি, তা সফল হওয়া বেশ মুশকিল। ভোটের পরিসংখ্যান অন্তত তেমনটাই বলছে।

Advt

Previous articleকেকেআরের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষুব্ধ নাইট কর্ণধার শাহরুখ খান
Next articleমোদির সোনার গুজরাতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, দলে দলে ঘরমুখো পরিযায়ী শ্রমিকরা