Thursday, August 21, 2025

বাংলার মনীষীদের জড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, আইনি নোটিশ আমূলকে

Date:

ভাজপার রাজনৈতিক স্লোগানকে আমূলের বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি তাতে ব্যবহার করা হলো রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগরের মতো বাংলার প্রথিতযশা মনীষীদের। যা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে ভোটের আবহেও। আমূল সংস্থার এই কীর্তিতে রীতিমতো চটে লাল বাংলার মানুষ । নিশ্চয়ই ভাবছেন কী করেছে আমূল? পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এস এস আইডিয়া সংস্থাকে দিয়ে একটি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে ছেড়েছে আমূল সংস্থা। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথের মতো মনীষীদের দিয়ে সুকৌশলে বলানো হয়েছে যে আমূল পরিবর্তন চায় বাংলা। সংবাদপত্রের প্রাক্তন প্রকাশক ও আইনজীবী জ্যোতিপ্রকাশ খান ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আমূলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। যেভাবে কুরুচিকর এই বিজ্ঞাপনে বাংলার মনীষীদের ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার বাংলা সুশীল সমাজ। বরং তাদের দাবি , ওরা গুজরাটে গিয়ে সর্দার প্যাটেল অথবা মহারাষ্ট্রে শিবাজীকে নিয়ে এই ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরী করে দেখাক। তাহলে বুঝবো ওদের বুকের পাটা আছে।

বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের পক্ষ থেকে সৌভিক মিশ্র জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনটি মোটেই ভুয়ো নয়। তারাই এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছেন ।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক যে আমৌলের মতো একটি সংস্থা শেষ পর্যন্ত ভাজপার কাছে নতি স্বীকার করল। ইনসিডেন্ট টপিক নিয়ে গত পঞ্চাশ বছর ধরেই বিজ্ঞাপন তৈরি করছে আমূল। এবং তা অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনগুলি সবই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং হিউমার নির্ভর। কিন্তু যে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে এত সমালোচনা তা কেন তৈরি করল আমূল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই গুজরাতি সংস্থাটি শেষ পর্যন্ত ভাজপার কাছে নতি স্বীকার করায় এবং তার বিজ্ঞাপনে বাংলার মনীষীদের ব্যবহার করে বাঙালিকে যে অপমান করেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করছেন আট থেকে আশি সবাই।

রাজনৈতিক দলগুলির মতে বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ভাজপা। বিদ্যাসাগর, বিভূতিভূষণের মূর্তি ভাঙতেও পিছপা হয়নি তারা। রবীন্দ্রনাথের বুলি আউড়ে, কিছু বাংলা কথা বলে তারা বাঙালি সাজার চেষ্টা করছে। আর পরিবর্তনে শ্লোগান দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমূল তাদের সেই শ্লোগানকে সঙ্গী করল তাদের বিজ্ঞাপনে, যা শুধুমাত্র নিন্দনীয় নয় অপমানকর। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকলেও, বাঙালিরা কিন্তু মোটেই পিছু হাটতে রাজি নয়। তারা এর শেষ দেখে ছাড়তে চায়।

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version