করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জের, ফের ভার্চুয়ালি ক্লাস শুরুর পথে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি

প্রতীকী ছবি

লাফিয়ে লফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। করোনার দাপট কিছুটা কম হওয়ায় অফিস, কাছারি খোলার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা দফতর গত ১২ই ফেব্রুয়ারি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শুরুর কথা জানিয়েছিল। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরাসরি ক্লাস করানো যাবে না বলে এখনও কোনও নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্যের শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু রাজ্যের অতিমারির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এক প্রকার ভার্চুয়ালি ক্লাস শুরুর কথা ভাবছে বেসরকারি স্কুলগুলি। এই তালিকায় রয়েছে ডন বস্কো, শ্রী শিক্ষায়তন, দিল্লি পাবলিক স্কুল, বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন ও সাউথ পয়েন্টের মতো একাধিক বেসরকারি স্কুল।
ছাত্র ছাত্রীরা যাতে কোনওভাবে এই করোনার কবলে না পরে তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শ্রী শিক্ষায়তন স্কুলের সচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ” যে হারে করোনা বাড়ছে মূলত সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আপাতত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে বারণ করে দিয়েছি। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, স্কুল খোলার পর থেকে উপস্থিতি খুব একটা ভালো ছিল না। তারজন্যই এবার আমরা স্ব-শরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইনে ক্লাস করাবো।”অন্য দিকে বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের প্রিন্সিপাল সুমিতা সেন বলেন “বর্তমান করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে একপ্রকার বাধ্য হয়ে আমরা আপাতত অনলাইনে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সোমবার থেকে সব ক্লাস অনলাইনেই হবে এবং সব পরীক্ষা অনলাইনেই নেওয়া হবে।”ইতিমধ্যেই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তরফেও অনলাইনে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত।
তবে বেসরকারি স্কুলগুলি একের পর এক বেসরকারি স্কুলগুলি ভার্চুয়ালি ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিলেও আপাতত সরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত দেওয়ার উপায় নেই। কারণটা হল নির্বাচন। একাধিক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকারা জানিয়েছেন যেহেতু রাজ্যের স্কুল শিক্ষা পর্ষদের তরফে কোনও নির্দেশিকা গাইড লাইন আসেনি তাই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের দিকে তারা যেতে পারছেন না। যদিও কলকাতার একাধিক সরকারি এবং সরকারি অনুমোদিত স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রীদের করোনা সংক্রমণ হওয়ার খবর এসেছে। অবশ্য যে যে স্কুল থেকে এই ধরনের খবর এসেছে সেই স্কুলগুলিতে টানা ১৫ দিন করে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর অবশ্য স্কুল ছুটির ব্যাপারে স্কুলগুলির সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে বলেই দফতর সূত্রের খবর।

Advt