যা নিয়ে বেশ আতঙ্কিত রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে কী ভাবে ভোট পরিচালনা করা হবে, কোনও রদবদল করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, রাজ্যে অতিমারীর বিষয়টি মাখায় রেখে শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর বাকি তিন দফার নির্বাচন একদিনেই করার দাবি তোলা হতে পারে শাসক দল তৃণমূলের তরফে। বিজেপি-সহ বিরোধীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অবশ্য এখনও সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিকে ষষ্ঠ (২২ এপ্রিল), সপ্তম (২৬ এপ্রিল) ও অষ্টম (২৯ এপ্রিল) দফার ভোট একসঙ্গে নয়, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে, সব জল্পনা উড়িয়ে জানিয়ে দিল দিল্লি নির্বাচন কমিশন (Election Commisssion)। সংবাদ সংস্থা ANI অন্তত তেমনটাই দাবি করেছে।
জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর থেকে জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ছিলেন ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈনও। সেখানেই প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়,
পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে ১৭ তারিখের পর আরও ৩ দফায় ভোট হবে। কারণ, আইনগত দিকটি ভাবাচ্ছে কমিশনকে।
সব বদলে এই মুহূর্তে এক দফায় ভোট করাতে হলে কমিশনের আগের সমস্ত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এতে গোটা প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে যাবে। অনেক সময় লাগবে।
তাছাড়া তিনদফার নির্বাচন একদফায় করাতে হলে আরও অন্তত ১৫০০ অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে পুলিশ পর্যবেক্ষক প্রয়োজন। তাঁদের ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় নিয়ে আসতে হবে। মহামারি আবহে সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আগামীকালের সর্বদল বৈঠকে স্থির করা হবে। সব দলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে মাত্র একজন করে প্রতিনিধি হাজির থাকবেন।