শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাব খোদ কমিশন নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষকের

দেশজুড়ে করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave) আছড়ে পড়ছে। এবার সংক্রমণের বিচারে বিশ্বের প্রথম ভারত। প্রতি ২৪ ঘন্টায় ভেঙে যাচ্ছে আগের ২৪ ঘন্টার রেকর্ড। ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গ। তিন এই সময়ই বাংলায় চলছে ৮ দফার ম্যারাথন ভোট (West Bengal Assembly Election)। যার জেরে এ রাজ্যে সংক্রমণ আরও বাড়ছে। একাধিক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে দুই প্রার্থীর।

এই পরিস্থিতিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) বাকি দফার ভোটগুলি একসঙ্গে করার দাবি বা আর্জি একাধিকবার জানানো হয়েছে। যদিও বিজেপি (BJP)-সহ বাকি বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই বাকি দফার ভোটগুলি করার কথা জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এবার কমিশনেরই দুই আধিকারিক রাজ্যের পরস্থিতি বিচার করে শেষ দু’দফার ভোট এক দিনে করানোর প্রস্তাব দিলেন।

সূত্রের খবর, রাজ্যের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক (Special Observer) বিবেক দুবে (Vivek Dubey) এবং অজয় নায়েক (Ajay Nayak) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, রাজ্যে ভোটের কাজে নিযুক্ত ২৫ জন কমিশন কর্মী ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের ২ প্রার্থী করোনায় মারাও গিয়েছেন। সেই ২ কেন্দ্রের ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। তাই এই দুই আধিকারিকের মতে, শেষ দুই দফার ভোট এক দিনে হওয়া উচিত।

বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েক নাকি এমনও মনে করেন, যে করোনার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন পরিচালনা করা খুব ঝুঁকির হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বাহিনীও চেয়েছেন তাঁরা।

পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে কলকাতায় সর্বদল বৈঠক করেছিল কমিশন। সেখানে রাজ্যের শাসকদল এক দিনে তিন দফার বৈঠক করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাব খারিজ করে কমিশন প্রচারের সময় বেঁধে দেয়। কমিশনের দাবি, তিন দফার ভোট একদিনে করার মতো বাহিনী কমিশন মোতায়েন করতে পারবে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ২২ তারিখ ষষ্ঠ দফার ভোট। ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল শেষ দুই দফার ভোট গ্রহণ। তারপর ২ মে গণনা।

Advt

 

Previous articleকোভিড মোকাবিলায় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল: বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
Next articleগ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ফের জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে বাংলার ৭ জেলার ১১ পঞ্চায়েত