অত্যাধুনিক অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বানালেও অনুমোদন দেয়নি বিজেপি সরকার, আশাহত আগরতলার রঞ্জন

পেশায় স্বর্ণকার। ছোটবেলা থেকেই ছোটখাটো যন্ত্রপাতি বানিয়ে ফেলতেন অনায়াসে। কিন্তু পারিবারিক ব্যবসায় মন দেওয়ার পর কিছুই তেমন আর বানানো হয়ে ওঠে না তাঁর। তবে গত বছর সেপ্টেম্বরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে পড়েন তাঁর মা। চোখের সামনে মায়ের শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেনের চাহিদা দেখে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর(Oxygen Concentrator) কী করে বানো যায়, তার চিন্তাভাবনা শুরু করেন রঞ্জন কুমার ধর। যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্বল্প সময়েই বানিয়ে ফেলেন অক্সিজেন ডিভাইস। নাম দেন ‘লাইফ প্লাস’।
ত্রিপুরার আগরতলা বাসিন্দা রঞ্জন জানান,’করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। টান পড়েছে অক্সিজেনের। কিন্তু আমার নির্মিত কনসেনট্রেটর খুব সহজেই অক্সিজেনের সরবরাহ করতে পারবে। এবং মানুষের প্রাণ বাঁচাবে। এইনিয়ে বারবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-কে চিঠি লিখেও কোনও সাড়া পায়নি। মানুষের স্বার্থে যে যন্ত্রটি বানালাম, তা যদি মানুষের কাজেই না আসে, তবে, আর থেকে আর দুঃখের কী আছে। ’

পুরস্কার নয়, সমাজ সেবার জন্য বাড়িতে পড়ে থাকা একটি ওয়াটার পিউরিফায়ারকে কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটরটি বানিয়েছেন তিনি। যেটা শুধুমাত্র দেশি যন্ত্রপাতি দিয়েই নির্মিত। তাই ডিভাইসটির গায়ে লিখেছেন ‘make in India’। করোনাকে বাগে আনতে সরকারের সাহায্য খুবই দরকার। শুধুই মানুষের স্বার্থে মোদির কাছে দেশীয় অক্সিজেন ডিভাইসের বার্তা প্রেরণ করোতে ত্রিপুরার রাজ্যপালকেও চিঠি লিখেছেন। তাতে খানিকটা সাড়া মিললেও কোনও অনুমোদন পাননি। ফলে যন্ত্রটির প্রয়োগ এখনও করা হয়নি।
রঞ্জনবাবুর কথায়, ‘পুরস্কার চাই না। মা যেভাবে অক্সিজেনের জন্য কষ্ট পেয়েছেন, তেমন যেন অন্য কেউ না পান, তাই জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই। সরকারের কাছে আমার আবেদন , অক্সিজেনের হাহাকারের দিনে আমাকে একটু সুযোগ করে দিন। আমি গবেষক নই ঠিকই। কিন্তু নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসের জোর আমার আছে। সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ তারা যেন আমার এই যন্ত্রটির অনুমোদন দেন।’

আরও পড়ুন- বেলগাছিয়ায় অর্জুন সিংহের সভা ঘিরে ধুন্ধুমার, চলল গুলি

Advt

Previous articleবেলগাছিয়ায় অর্জুন সিংহের সভা ঘিরে ধুন্ধুমার, চলল গুলি
Next articleকমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কুমারগঞ্জে দিব্যি সভা করলেন দিলীপ