কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কুমারগঞ্জে দিব্যি সভা করলেন দিলীপ

কুমারগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী মানস সরকারের    সমর্থনে কোভিড নির্দেশিকা মেনে জনসভা হয়েছে বলে শুক্রবার দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । কিন্তু বাস্তব চিত্র মোটেই তা নয়।
গতকালই নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছিল কোনও নির্বাচনী জনসভায় ৫০০ জনের বেশি উপস্থিতি যেন না থাকে। কিন্তু শুক্রবারের জনসভায় তার বিন্দুমাত্র দেখা গেল না।
তাই প্রশ্ন উঠছে, কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতায় হাইকোর্টের কাছে তুলোধোনা হওয়ার পর কমিশনের নির্দেশকে যেভাবে বুড়ো আঙুল দেখালো বিজেপি, তাতে ফের প্রমাণ হয়ে গেল শাসকদলের অভিযোগ । তবে কী কমিশন চোখে আঙুল দিয়ে আছে? না হলে আজ শুক্রবার কেন হাইকোর্টকে ফের কমিশনের উদ্দেশে নির্দেশ দিতে হয়েছে, অবিলম্বে কোভিড বিধি কার্যকর করতে কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমায়েত বক্তব্য রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি । অথচ তৃণমূল সুপ্রিমো সব সভা বাতিল করে ভার্চুয়ালি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আজ তিনি তার ঘোষণা অনুযায়ী ভার্চুয়াল সভা করেন। বিজেপি যে কমিশনের নির্দেশ মানল না, তার বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেবে কমিশন?
দিলীপবাবু অবশ্য বলেছেন, কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে মানুষের রোজগার খুবই কম। উন্নয়নের ছিটেফোঁটা পৌঁছায়নি এখানে।সেইসঙ্গে রয়েছে অনুপ্রবেশের সমস্যা।
বিজেপি ক্ষমতায় এসে এখানে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং রোজগার বৃদ্ধির বিষয়ে সচেষ্ট হবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। উন্নত হবে কৃষিক্ষেত্র।
তিনি তো তার নির্বাচনী প্রচার সারলেন।
কিন্তু ৫০০ মানুষের বেশি জমায়েতে করোনা সংক্রমণ বাড়লে তার দায় কি বিজেপি নেবে? নেবে না, তা হলফ করে বলা যায় । আসলে তখন যুক্তি তর্কের বেড়াজাল বুনতে থাকবেন বিজেপি নেতৃত্ব । আর বাংলার মানুষ তাদের কথার জালে জড়িয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার হয়ে জীবন মৃত্যুর সামনে এসে দাঁড়াবেন। এটাই এখন বঙ্গ ভোটের লেটেস্ট পরিস্থিতি ।

Advt

Previous articleঅত্যাধুনিক অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বানালেও অনুমোদন দেয়নি বিজেপি সরকার, আশাহত আগরতলার রঞ্জন
Next articleকরোনায় গোটা দেশকে ডুবিয়ে এখন নির্লজ্জের মতো ভোট চাইছে বিজেপি : কুণাল